বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকালের দিকে উপজেলার রুদ্রবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য রুদ্রবাড়িয়া গ্রামের বেলাল হোসেনের স্ত্রী রেহেনা বেগম (৪৫), ছেলে রনি রানা (২৪) ও পুত্রবধূ রুবিনা খাতুন (২০)।
দুপুরে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্র করে একই গ্রামের হাসেন আলীর ছেলে আব্দুল মালেক ও আলতাব হোসেনের সঙ্গে রেহানার বিরোধ হয়।
ইউপি সদস্য রেহেনা অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে বিরোধের জের ধরে আমাকে নিজ বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করে আসছেন তারা। এরই ধারাবাহিকতায় সকালে আমার বাড়িভিটা কেটে জমি তৈরি করছিলেন মালেক ও তার শ্রমিকরা।
এ সময় বাধা দিতে গেলে তারা আমাকেসহ ছেলে ও পুত্রবধূকে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় মামলা করবেন বলে যোগ করেন তিনি।
অপরদিকে আব্দুল মালেক বাংলানিউজকে বলেন, আমার জমির সীমানা ঘেঁষে ইউপি সদস্য ঘর নির্মাণ করায় চাষাবাদ ব্যহত হচ্ছে। তাই ওই জমির আইল কেটে পরিচর্যা ও জমির সীমানায় গাছ লাগিয়ে বেড়া দেওয়ার সময় ইউপি সদস্য ও তার ছেলে গালিগালাজ করে।
এ নিয়ে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
এমবিএইচ/এএটি/জেডএস