গত কয়েক দিন ধরে রাজধানীতে পরিবহন সঙ্কট ও নৈরাজ্যে অতিষ্ঠ হয়ে বাংলানিউজকে কথাগুলো বলছিলেন খিলক্ষেতের বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম।
রোববার (১৬ এপ্রিল) থেকে রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকরের পর থেকেই একের পর এক নৈরাজ্য সৃষ্টি করে যাচ্ছেন পরিবহন মালিকরা।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর লিংক রোড থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকার অন্যান্য এলাকার মতোই পরিবহন নৈরাজ্য চলছে এসব এলাকায়।
যাত্রীদের অভিযোগ এসব নৈরাজ্য নিরসনে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার বা বাস মালিক কর্তৃপক্ষ।
রাজধানীর রামপুরার বাসিন্দা সীমা রহমান শাহাজাদপুরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। কর্মস্থলে আসার জন্য প্রতিদিনই তাকে গণপরিবহনে চড়তে হয়।
সীমা রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সিটিং বন্ধ হওয়ায় একটি সুবিধা হয়েছে এখন বাসে উঠতে পারি। কিন্তু আগে যখন সিটিং ছিল তখন লোক সংখ্যা অনুযায়ী বাস কম থাকায় সময় মতো উঠতে পারতাম না। তবে এখন পরিবহনের কৃত্রিম সঙ্কট থাকায় ভোগান্তি হচ্ছে বেশি। আর লোকালে সিটিং সার্ভিসের মতোই ভাড়া নিচ্ছে।
তিনি বলেন, সিটিং বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কার্যকর করার সঙ্গে সঙ্গে পরিবহনের সংখ্যা বৃদ্ধি ও লোকালের সার্ভিসের ভাড়া যেন নিয়ম মতোই নেওয়া হয় সে বিষয়ে সরকারকে কাজ করতে হবে। না হলে সিটিং বন্ধের সুফল আমরা পাব না। তখন দেখা যাবে সিটিং বন্ধের বিষয়টি মানুষের কাছে অপ্রিয় হয়ে উঠবে আর এর ফায়দা লুটবে মালিক পক্ষ।
উত্তর বাড্ডা এলাকার অনেক যাত্রী অভিযোগ করেন, লোকাল সার্ভিসগুলোতে কর্তৃপক্ষ ভাড়ার চার্ট দেখাচ্ছে না। আর কোনো বাসে ভাড়া চার্ট থাকলেও তা সঠিক নয় বলেও যাত্রীদের অভিযোগ।
এ সম্পর্কে তুরাগ পরিবহনের চালক জুয়েল বাংলানিউজকে বলেন, মালিকরা ভাড়ার চার্ট না লাগাতে দিলে আমরা কীভাবে লাগাব। আমরা তো শুধু মালিকের কর্মচারী।
তবে অনেক পরিবহনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে মালিক পক্ষ ভাড়া চার্ট লাগানোর নির্দেশ দিলেও চালকরা তা মানছেন না। বাড়তি আয়ের আশায় তারা ভাড়ার চার্ট তুলে ফেলছে বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
এমএ/এমজেএফ