বুধবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার এ রায় দেন।
সরকারপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রথিশ চন্দ্র ভৌমিক ও আসামিপক্ষে পরিচালনায় ছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রথিশ চন্দ্র ভৌমিক জানান, ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই রংপুর নগরীর খামারপাড়া এলাকায় আবু তালেব অ্যাডভোকেটের পুকুরের পানিতে শিশু রাকিবসহ ৩ বন্ধু গোসল করে। চলে যাওয়ার সময় আসামি নাজমুল তাদের ধাওয়া করে। এসময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও রাকিবকে ধরে ফেলে। পরে নাজমুল শিশু রাকিবকে গাছের ডাল ভেঙে বেদম মারধর করে। এক পর্যায়ে রাকিবকে ধরে আছাড় দিয়ে মাটিতে ফেলে দিলে ঘটনাস্থলেই রাকিব মারা যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ রাকিবের মরদেহ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহত রাকিবের বাবা আয়নাল বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ তদন্ত শেষে আসামি শহিদুল ও নাজমুলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে।
বিচার শুরু হওয়ার পর ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আসামি নাজমুলকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন বিচারক।
অপর আসামি শহিদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়।
রায়ে নিহত শিশু রাকিবের বাবা আয়নাল বলেন, নাজমুলকে সাজা দেওয়ায় আমি খুশি। আসামির ফাঁসি হলে আরও খুশি হতাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
জেডএস