কিন্তু অনাকাঙ্খিত একটি মৃত্যু তাদের স্বপ্নকে ভেঙে দিয়েছে। এখন সফিকুলের মরদেহ ফেরত পাওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন আত্মীয়-স্বজনেরা।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) নিহত সফিকুলের বাবা আব্দুর রশিদ ও মা সফুরা খাতুন কান্নাজড়িত কন্ঠে এমন তথ্যই দিলেন।
গত সোমবার (২৪ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত ১০টায় বাহরাইনে একটি ভবনের নির্মাণ কাজ করার সময় টাইলস্ মাথায় পড়ে মারা যান সফিকুল। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকালে প্রবাসী মো. রাসেল মিয়া মোবাইল ফোনে নিহত সফিকুলের আত্মীয়- স্বজনকে মৃত্যুর বিষয়টি জানান।
সফিকুল কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ণমতি গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। পরিবারের তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সফিকুল তৃতীয়।
নিহত প্রবাসী যুবকের বাড়িতে গিয়ে জানা গেছে, সফিকুল জীবিকার তাগিদে ২০১৩ সালে বাহরাইনে যান। যাওয়ার সময় প্রায় চার লাখ টাকা তার বাবা আব্দুর রশিদকে ঋণগ্রস্ত করেন। গত ৪ বছরে ঋণের টাকা পরিশোধ করলেও বাড়ি-ঘরের কোনো উন্নতি করতে পারেননি রশিদ। আগের টিনের চৌচালা দারিদ্র্যের ছাপ মারা ঘর এখনো রয়েছে।
কথা ছিল, সফিকুল এবার দেশে এসে বাড়ি-ঘরের সংস্কার করবেন। তারপর বিয়ে করবেন। কিন্তু সর্বনাশা দুর্ঘটনা সফিকুলের বাবা-মায়ের সব স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছে।
সেই বাড়িতে এখন শোকের মাতম চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৭
এএটি/এএসআর