বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
ডিজিটাল দ্বীপ প্রকল্পে উচ্চগতির ইন্টারনেট এবং তথ্যপ্রযুক্তি-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমাধানের ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
কোরিয়ান টেলিকম (কেটি) প্রতিষ্ঠানের কারিগরি সহায়তায় প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
প্রায় ২২ কোটি ৩৫ লাখ ৮১ হাজার টাকার এ প্রকল্পের কাজ ২০১৮ সালের ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দ্বীপের দরিদ্র লোকজনের জীবনমানের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে। আর্থসামাজিক বৈষম্য কমে যাবে।
প্রাথমিকভাবে মহেশখালী পৌরসভা এবং উপজেলার ছোটমহেশখালী ও বড়মহেশখালী ইউনিয়নের ২৫টি প্রতিষ্ঠানকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে মহেশখালীর মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ উচ্চগতির ইন্টারনেট এবং প্রযুক্তি সুবিধা পাবে। তাদের শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য, তথ্য ও জ্ঞানে প্রবেশাধিকার বাড়বে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ‘শিক্ষামূলক কর্মসূচি’ চালু ও শিক্ষার্থীদের এমআইএস ডেটাবেইস তৈরি, কৃষকদের জন্য ই-বাণিজ্য সুবিধা, তথ্যপ্রযুক্তিতে শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও সরকারি কর্মকর্তাদের দক্ষ করতে প্রশিক্ষণ ইত্যাদি কার্যক্রম চালু করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
আরআই