গ্রেফতাররা হলেন- সাবিনা আক্তার বৃষ্টি ও সিরাজ মিয়া ওরফে বাবুল।
সুমাইয়ার বাড়ির পাশের রাস্তায় থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অপহরণকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হলো।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ইব্রাহিম খান।
তিনি বলেন, বুধবার (২৬ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর কদমতলী থানা এলাকার রহমতবারে দক্ষিণ দনিয়া মো. কামালের বাড়ি থেকে শিশু সুমাইয়াকে উদ্ধার করা হয়।
চলতি গত ৩ এপ্রিল বিকেল ৪টার দিকে সুমাইয়াকে কামরাঙ্গীরচরে তাদের বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করা হয়। তবে এর জন্য কোনো মুক্তিপণ দাবি করেননি অপহরণকারীরা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ওই সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, গ্রেফতার আসামি সাবিনা ৩ এপ্রিল বিকেলে সুমাইয়াদের বাড়িতে আসেন। তখন সুমাইয়ার মা ঘরের ভেতরে ছিলেন। ওই সুযোগে সুমাইয়াকে অপহরণ করা হয়। সাবিনা ৬ মাস আগে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় সুমাইয়াদের বাড়ির পাশে ভাড়া থাকতেন।
ডিসি ইব্রাহিম খান বলেন, সাবিনার একাধিকবার ভারতে যাতায়াতের প্রমাণ মিলেছে। অপহরণকারী সাবিনাকে ১১ বছর বয়সে তার মা বিক্রি করে দিয়েছিলেন বলেও আমাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাবিনার স্বামী মাদক সংক্রান্ত মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
সাবিনা কোনো পাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে, শিশু সুমাইয়াকে উদ্ধারের পর তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। সুমাইয়াও অনেকটা হাসি-খুশি।
সুমাইয়ার বাবা জাকির হোসেন বলেন, কি উদ্দেশ্যে আমার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছিলো জানি না। কোনো টাকা-পয়সাও দাবি করেনি অপহরণকারীরা। আমার মেয়েকে পুলিশ উদ্ধার করে দিয়েছে এতেই খুশি।
একইসঙ্গে অপহরণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
এসজেএ/এএ