বুধবার (২৬ এপ্রিল) আটকের পর বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে দু’জনকে ফতুল্লা মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
গ্রেফতার দু’জন হলেন- জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানার মালঞ্চ এলাকার আবদুল জলিলের ছেলে হযরত আলী (৩৮) ও ফতুল্লার পাগলা হাইস্কুল সংলগ্ন দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২২)।
মামলায় এ দু’জন ছাড়াও তাদের সহযোগী পলাতক জামালপুরের মালঞ্চ এলাকার আবদুল জলিলের ছেলে হারুন (৩৫) ও ফতুল্লার পাগলা এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে দুলাল হোসেনকে (২৮) আসামি করা হয়েছে। পলাতক দু’জন লিবিয়ায় অবস্থান করছেন।
মামলার বাদী নরসিংদী জেলার বেলাবো চরলক্ষ্মীপুর এলাকার তোতা মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, তার ছেলে মেহেদী হাসান হৃদয় ও প্রতিবেশি সেলিমকে ভালো চাকরির প্রলোভনে ৬ মাস আগে লিবিয়া নিয়ে যায় এই চক্র। গত ৫ এপ্রিল মিজানুরকে ফোন করে দুলাল জানান, তার হেফাজতে মেহেদী ও সেলিম আছে। তাদের মুক্তি চাইলে জনপ্রতি ৫০ হাজার করে টাকা দিতে হবে। তখন দুলালের ভাই পরিচয় দেওয়া সাইফুলের সঙ্গে যোগাযোগের কথা বলা হয়। পরে মিজানুর লিবিয়ায় ফোন করে মেহেদীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানতে পারেন তাকে ও সেলিমকে হারুন ও দুলাল আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করছেস। এছাড়া ফোনে প্রায়ই নির্যাতনের শব্দও শোনানো হতো।
গত ২২ এপ্রিল মিজানুর রহমান নগদ ৩০ হাজার টাকা ফতুল্লার পাগলায় এসে সাইফুলকে দেন। কিন্তু সেদিন রাতেই আরও ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন সাইফুল। মিজানুর রহমান অপারগতা প্রকাশ করলে লিবিয়ায় মেহেদী ও সেলিমকে আরও মারধর করা হয়।
বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে গত ২৬ এপ্রিল ফতুল্লার পাগলা থেকে সাইফুলকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন, তার ভাই দুলাল ও হারুন মিলে লিবিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি বিভিন্ন নাগরিককে জিম্মি রেখে মারধর করে আত্মীয়দের কাছ থেকে অন্তত ৩০ থেকে ৩২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হযরত আলীকে আটক করে। একইসঙ্গে তার বাড়ি থেকে ৫ লাখ টাকা জব্দ করে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামালউদ্দিন জানান, দু’জনকে এরইমধ্যে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। চক্রের অপর সদস্যদেরও গ্রেফতারে তৎপরতা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
জেডএস/এইচএ/