কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা গেলো পচা ও চারা থেকে তুলে আনা ধান শুকাতে ব্যস্ত কৃষকরা।
ধান শুকানোর খলায় পানি ওঠায় যেখানেই একটু জায়গা পাচ্ছেন সেখানেই মেলে দিচ্ছেন ধান।
ফলে শুকাতে দেওয়া ধানের পচা গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে।
ইটনা সদর উপজেলার নয়হাটির বৃদ্ধা আয়মন নেছা বিলাপ করতে করতে বলেন, অহন রইদ উইঠা কি অইব যা নেওনের তা তো নিয়াই গেছে।
তিনি জানান, তার ছেলে সুদে টাকা এনে অন্যের জমি বর্গা নিয়ে দেড় একর জমিতে ফসল লাগিয়েছিলেন। যার পুরোটাই এখন পানির নিচে। পানির নিচ থেকে অল্প কিছু ধান কেটেছিল কিন্তু রোদের অভাবে সেগুলোও পচে হাঁসের খাবারে পরিণত হয়েছে।

তবে আশার কথা গত দুইদিন আর বৃষ্টি না হওয়ায় এবং রোদ উঠায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ইটনার কৃষকদের মাঝে। এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে ইটনা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইটনা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ত্রাণ ও ওএমএসের চাল বিতরণ শুরু হয়েছে।
প্রকৃতির খামখেয়ালিতে অকাল বন্যায় কৃষকের প্রাণ আজ উষ্ঠাগত।
এখন দেখার বিষয় রোদ কতদিন স্থায়ী হয় এবং এই রোদের মাধ্যমে কৃষক কিছু স্বপ্ন ঘরে তুলতে পারে কিনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
আরএ