ঢাকা, সোমবার, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

অবশেষে হাওরে রোদ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
অবশেষে হাওরে রোদ অবশেষে হাওরে রোদ-ছবি: বাংলানিউজ

কিশোরগঞ্জ: কয়েকদিনের টানাবর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলের পর অবশেষে হাওরে দেখা মিলেছে রোদের।

কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা গেলো পচা ও চারা থেকে তুলে আনা ধান শুকাতে ব্যস্ত কৃষকরা।

ধান শুকানোর খলায় পানি ওঠায় যেখানেই একটু জায়গা পাচ্ছেন সেখানেই মেলে দিচ্ছেন ধান।

বাড়ির ছাদ, রাস্তা-ঘাট, বালুর মাঠে ত্রিপল বিছিয়ে এমনকি বাদ যায়নি বাসা-বাড়ির ছাদও।

ফলে শুকাতে দেওয়া ধানের পচা গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে।

ইটনা সদর উপজেলার নয়হাটির বৃদ্ধা আয়মন নেছা বিলাপ করতে করতে বলেন, অহন রইদ উইঠা কি অইব যা নেওনের তা তো নিয়াই গেছে।

তিনি জানান, তার ছেলে সুদে টাকা এনে অন্যের জমি বর্গা নিয়ে দেড় একর জমিতে ফসল লাগিয়েছিলেন। যার পুরোটাই এখন পানির নিচে। পানির নিচ থেকে অল্প কিছু ধান কেটেছিল কিন্তু রোদের অভাবে সেগুলোও পচে হাঁসের খাবারে পরিণত হয়েছে।
অবশেষে হাওরে রোদ-ছবি: বাংলানিউজএদিকে ইটনা উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের রুবেল মিয়া জানান, রোদের অভাবে পানির নিচ থেকে কেটে আনা ধান পচে গেছে। ১৫ মন পচা ধান মাত্র ৩৫০০ টাকায় হাঁসের খামারির কাছে বিক্রি করতে হয়েছে।

তবে আশার কথা গত দুইদিন আর বৃষ্টি না হওয়ায় এবং রোদ উঠায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ইটনার কৃষকদের মাঝে। এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে ইটনা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইটনা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ত্রাণ ও ওএমএসের চাল বিতরণ শুরু হয়েছে।
 
প্রকৃতির খামখেয়ালিতে অকাল বন্যায় কৃষকের প্রাণ আজ উষ্ঠাগত।

এখন দেখার বিষয় রোদ কতদিন স্থায়ী হয় এবং এই রোদের মাধ্যমে কৃষক কিছু স্বপ্ন ঘরে তুলতে পারে কিনা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।