ঢাকা, সোমবার, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

অপহরণ মামলায় যুবকের ১৪ বছর কারাদণ্ড

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
অপহরণ মামলায় যুবকের ১৪ বছর কারাদণ্ড

শেরপুর: শেরপুরে এক ছাত্রীকে অপহরণের দায়ে সোবাহান উদ্দিন জিহান নামে অনার্স পড়ুয়া এক যুবককে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন শিশু আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে শিশু আদালতের বিচারক শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন এ রায় দেন।

দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জিহান শহরের নবীনগর এলাকার বাসিন্দা এবং ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) শিক্ষার্থী।

আদালতে তার উপস্থিতিতে এ রায় দেওয়া হয়।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জিহানের বাবা হানিফ উদ্দিন, মা বিনা বেগম, বন্ধু মজনু মিয়া ও বান্ধবি ছোঁয়া বেগমকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

আদালতের পিপি (সরকারি কৌসুলি) অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ২০১৫ সালের ১৪ মার্চ এসএসসি পরীক্ষার শেষ দিন ভিকটিমকে অপহরণের অভিযোগ করেন তার বাবা। এ ঘটনায় নবীনগর এলাকার জিহান এবং তার বাবা-মা ও দুই বন্ধুসহ পাঁচজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

পরে ওই বছরের ২২ এপ্রিল বিচারিক আদালতে ভিকটিমসহ আসামিরা আত্মসমর্পণ করে ঘটনাটি অপহরণ নয়, প্রেমঘটিত বলে উল্লেখ করে জামিন প্রার্থনা করেন। এমনকি ভিকটিম বিচারিক হাকিমের আদালতে জবানবন্দিতেও তাকে অপহরণ করা হয়নি, সে স্বেচ্ছায় জিহানের সঙ্গে চলে গেছে বলে উল্লেখ করেন। ভিকটিম তার বাবা-মার হেফাজতে যেতেও অস্বীকৃতি জানায়। পরে আদালত তাকে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ফরিদপুরের সেইফ হোমে পাঠায়। এরপর থেকে ভিকটিম ওই সেইফ হোমেই রয়েছে।
 
পরে শেরপুর সদর থানা পুলিশ ২০১৫ সালের ১ আগস্ট ওই মামলায় জিহানসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটির বিচার কার্যক্রম চলার পর্যায়ে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার শিশু আদালতের বিচারক অভিযুক্ত জিহানকে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় অপরণের দায়ে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন এবং অপর চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান আকন্দ বাংলানিউজকে জানান, এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আপিল করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
আরবি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।