ঢাকা, সোমবার, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বরিশাল সরকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এখন পরিত্যক্ত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
বরিশাল সরকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এখন পরিত্যক্ত পরিত্যক্ত মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র-ছবি-বাংলানিউজ

বরিশাল: আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকার পরেও গত ৮ বছরে বরিশাল সরকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নেই মাছের দেখা। কেন্দ্রটির স্টোররুম ও ব্যবসায়ীদের ডরমিটরি এখন ব্যবহৃত হচ্ছে স্যানেটারি আর টাইলসের দোকান হিসেবে। ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দিয়ে কিছু টাকা আয় হলেও প্রতিবছর সরকারের লোকসানই হচ্ছে। দীর্ঘদিন অচল অবস্থায় পড়ে থাকায় নষ্ট হচ্ছে অবতরণ কেন্দ্রটির যন্ত্রপাতিও। 

সূত্র জানায়, ১৯৮৫-৮৬ সালে বান্দ রোডে কীর্তনখোলা নদীর তীরে ১ দশমিক ২৩ একর জমিতে মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) কেন্দ্রটি নির্মাণ করলেও স্থানীয় প্রভাবশালীদের জন্য সেটি চালু করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় কেন্দ্রটি চালু হয়।

ওই সময় ব্যবসায়ীদের নিয়মিত মাছ কেনাবেচার ফলে কেন্দ্রটি জমজমাট হয়ে ওঠে। দুই বছরে গড়ে প্রায় দুই কোটি টাকা আয় হয়।

২০০৯ সালের ১৩ জুলাই ব্যবসায়ীরা ফিরে যান পোর্টরোডের বেসরকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে। এখন পর্যন্ত সেখানেই চলছে মাছ বেচাকেনার কাজ।  

পরিত্যক্ত মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র-ছবি-বাংলানিউজদীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় কেন্দ্রটির মূল স্থাপনা, ডরমিটরি ভবন, অফিস, আড়ত শেড, বরফকল, গভীর নলকূপ, হিমঘর, গাড়ি পার্কিং স্টেশনসহ স্থাপনা ও আধুনিক যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে।  

বিভিন্ন স্থানে সীমানা প্রাচীর না থাকায় অবৈধ দখলদাররা আড়ত শেড ব্যবহার করছে রিকশা-ভ্যানের গ্যারেজ হিসেবে। সন্ধ্যার পরে বসে মাদকের আসর। আর অবতরণ কেন্দ্রের দেখভালের দায়িত্বরতরা বাধা দিতে গেলেই পড়েন রোষানলে।

বিএফডিসি সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রটি চালু করার জন্য বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহল থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এতে সরকারকে প্রতিবছর লোকসান গুণতে হচ্ছে।

অবতরণ কেন্দ্রটি অপরিকল্পিতভাবে স্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে আড়‍তদার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অজিত দাস বলেন, বর্তমান বাজারে বেচাকেনা করে ব্যবসায়ীরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন।  

পরিত্যক্ত মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র-ছবি-বাংলানিউজবিএফডিসির সিনিয়র অপারেটর ও হিসাবরক্ষণ বিভাগের দায়িত্বে থাকা মোতালেব হোসেন জানান, সরকারি অবতরণ কেন্দ্রটিতে রয়েছে বিশাল মার্কেট শেড, ১৫ টনের বরফকল, ১০ হাজার গ্যালনের একটি জলাধার, আড়তদারদের জন্য দ্বিতল একটি ভবন, একতলা প্রশাসনিক কার্যালয় ভবন, কোল্ডস্টোরেজ, গাড়ি পার্কিং জোন, নদী থেকে মাছ ওঠানোর ফিশ ল্যান্ডিং স্টেশনসহ নানা সুযোগ-সুবিধা।

এদিকে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি চালুর জন্য ব্যবস্থাপকসহ ৩৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ থাকলেও বর্তমানে পাথরঘাটার ব্যবস্থাপক এর ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে রয়েছেন। আর গার্ডসহ ৪ জন কর্মচারী পুরো অবতরণ কেন্দ্রটির দেখভাল করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
এমএস/আরআর/আরআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।