এরমধ্যে একজন জঙ্গি রফিকুল ইসলাম ওরফে আবু (৩৭)। বাকিরা তার সহযোগী।
অপারেশন ঈগল হান্ট
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় স্পেশাল উইপন্স অ্যান্ড ট্যাকটিক্স (সোয়াট) পরিচালিত ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’ সমাপ্ত ঘোষণা করে ব্রিফিং করা হয়। কথা বলেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এম খুরশীদ হোসেন।
ডিআইজি বলেন, দেশের অন্য জঙ্গি আস্তানাগুলোর তুলনায় এই আস্তানার অভিযানটি একটু আলাদা। আমরা অভিযান চলাকালে একাধিকবার জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। এই অভিযানে একজন নারী ও একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য বড় একটি সাফল্য।
জঙ্গিরা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন বলেও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
ব্রিফিংয়ের সময় সোয়াটের উপ-কমিশনার (ডিসি) প্রলয় কুমার জোয়ার্দারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্থগিতের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার কিছু আগে এবং ৫টা ২০ মিনিটে অভিযানস্থল থেকে দুটি অ্যাম্বুলেন্স বের হয়। প্রথমটিতে আহত এক নারীকে দেখা যায়। ওই নারীর নাম সুমাইয়া (৩৫) এবং তিনি জঙ্গি রফিকুল ইসলাম ওরফে আবুর স্ত্রী বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়। দ্বিতীয় অ্যাম্বুলেন্সে ছিল এক শিশু। সুরাইয়া ইসলাম (০৫) নামে ওই শিশু আবুর ছোট মেয়ে বলে জানানো হচ্ছে।
তার আগে দুপুরের দিকে ব্যাপক গুলির শব্দ শোনা যায়। পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে বারুদের গন্ধ।
চাঁপাই হাসপাতালে নারী-শিশু
জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার নারী ও শিশুকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে সেখানে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা।
উৎসুক মানুষের ভিড়
এতোটা ঘনবসতির এলাকা না হলেও, মানুষের ভিড় ছিল প্রচুর। ১৪৪ ধারা ঘোষণা করা থাকলেও আশাপাশের এলাকাগুলো থেকে মানুষ এসে ভিড় জামাতে থাকেন। ভ্যানে এবং রিকশাতে করে লোকজন আসতে থাকেন। যেকোনো ধরনের ঝুঁকি এড়াতে তাদের লাঠি-চার্জ করে সরিয়ে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বুধবারে পুলিশকে লক্ষ্য করে প্রথম গুলি করে জঙ্গিরা
বুধবার (২৬ এপ্রিল) ভোর থেকেই পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা বাড়িটি ঘিরে রাখে। বিকেলে দুটি হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে সোয়াট টিম পৌঁছানোর পর শুরু হয় অভিযান। পরে বুধবার রাত ৯টা ৫ মিনিটে ওই আস্তানার সামনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এই অভিযান স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের (এসএজি) উপ-পুলিশ কমিশনার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার।
তবে দিনব্যাপী ছিল টানটান উত্তেজনা। ক্ষণে ক্ষণে হয় গুলি বিনিময়, চার থেকে পাঁচটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সেসময় বাইরে থেকে বোঝা যাচ্ছিল না ভেতরে ঠিক কয়জন আছেন।
শুরুর কথা: মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ঘেরাও
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দিনগত রাতে বাড়িটি ঘিরে ফেলে সিটিটিসি। পরদিন ব্যাপকভাবে সংবাদমাধ্যমে আসে বিষয়টি। এরপর থেকেই অভিযান। শঙ্কা ছিল নারী ও দুই শিশু নিয়ে। তবে তারা ঠিক আছেন।
বাড়ির মালিক
বাড়ির মালিকের নাম হাজি জেন্টু। তিনি সেখানে থাকেন না। করেন আম ব্যবসা। ‘আবু আলী’ নাম দিয়ে জঙ্গি সদস্য প্রায় দুই মাস আগে বাড়িটি ভাড়া নেন। স্ত্রীকে নিয়ে তিনি ওই বাড়িতে ওঠেন। আবু পরিচয় দেয় মসলা ব্যবসায়ীর। তবে সাধারণ একজন ব্যবসায়ীর কাছে এতো মানুষ আসেন কেন, সেই থেকে জাগে প্রাথমিক সন্দেহ।
আরও পড়ুন
অপারেশন ‘ইগল হান্ট’ সমাপ্ত, ৪ জঙ্গি নিহত
আস্তানা থেকে উদ্ধার নারী ও শিশু চাঁপাই হাসপাতালে
এক নারী ও শিশুকে নিয়ে বের হলো দুটি অ্যাম্বুলেন্স
জঙ্গির স্ত্রী সুমাইয়াকে নিয়ে বের হলো অ্যাম্বুলেন্স!
বাতাসে বারুদের গন্ধ
জঙ্গি আবুকে ফের আত্মসমর্পণের আহ্বান
চাঁপাইয়ে জঙ্গি আস্তানায় বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট
জঙ্গি আস্তানায় ফের গুলির আওয়াজ
অপারেশন ‘ঈগল হান্ট’, ঘটনাস্থলে দুই ডোম
১৪৪ ধারা জারির পরও উৎসুক জনতার ভিড়
দ্বিতীয় দফায় শুরুর অপেক্ষায় অপারেশন ঈগল হান্ট
অপারেশন ‘ঈগল হান্ট’ ফের সকালে
চাঁপাইয়ে জঙ্গি আস্তানায় অপারেশন ‘ঈগল হান্ট’
চাঁপাইয়ে জঙ্গি আস্তানায় গুলির আওয়াজ
মায়ের আত্মসমর্পণের আহ্বানে সাড়া দেয়নি জঙ্গি আবু
চাঁপাইয়ে জঙ্গি আস্তানার দায়িত্ব সোয়াটের হাতে
হেলিকপ্টারে এলো সোয়াট, রাতে অভিযান
হেলিকপ্টারে যাচ্ছে সোয়াট
ব্যবসায়ী পরিচয়ে বাড়ি ভাড়া নেয় জঙ্গি রফিকুল
চাঁপাইয়ের জঙ্গি আস্তানায় যাচ্ছে সোয়াট
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘেরাও
জঙ্গি আবু’র এমন পরিণতি চাননি মা
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
এসএস/আইএ