বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনের তার কার্যালয়ে ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান।
ইসি সচিব আব্দুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, আঙ্গুলের ছাপ ও আইরিশ নেওয়ার মেশিন এখনো সব কেনা যায়নি।
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্মার্টকার্ড বিতরণের সময় দশ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ২০১৫ সালের শেষে। নানা জটিলতায় সফল না হওয়ায় কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে চাচ্ছে।
সম্প্রতি ইসি এনআইডি শাখার মহাপরিচালক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন স্মার্টকার্ড প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের অবার্থুর টেকনোলজি ১৮ মাসের মধ্যে সরবরাহের চুক্তি করলেও ২৮ মাসেও দেয়নি। জুনের মধ্যে চুক্তি মোতাবেক নয় কোটি কার্ড হস্তান্তর না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৪০ শতাংশ স্মার্টকার্ডও বিতরণ হয়নি বলে তিনি জানিয়েছিলেন।
স্মার্টকার্ড বা আইডিইএ প্রকল্পটি নির্বাচন কমিশন হাতে নেয় ২০১১ সালে। তবে কার্ড বিতরণে ফ্রান্সের ওই কোম্পানীর সাথে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে চুক্তিবদ্ধ হয় ইসি। কয়েক দফা মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বিতরণ সম্পন্ন করার কার্যক্রম হাতে নেয় সংস্থাটি।
তবে এ সময়ের মধ্যেও কার্যক্রম শেষ না হওয়ার শঙ্কা করছেন খোদ ইসি কর্মকর্তারাই।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৮ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৬
ইইউডি/এসআই/জেএম