বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে সন্ধ্যায় থানার সেকেন্ড অফিসারের নেতৃত্বে পুলিশ কুশিয়ারা নদীতে মরদেহটি উদ্ধারে গেলেও এটির নাগাল পায়নি। প্রবল স্রোত মরদেহটি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাকে বলার পরপরই মরদেহ উদ্ধারে থানার সেকেন্ড অফিসারের নেতৃত্বে পুলিশ পাঠাই। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই মরদেহটি ভেসে গেছে।
প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, ওই যুবকের পরনে ছিলো নীল রঙের জিন্সের প্যান্ট এবং ফুলহাতা কমলা রঙের চেক শার্ট। ফুলে ফেপেঁ বিকৃত হয়ে যাওয়া মরদেহের হাত দুটো উপরে ওঠানো। মুখমন্ডলে আলকাতরা লাগানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েকদিন আগে এই যুবককে হত্যা করে কুশিয়ারায় ফেলে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ বাজার সংলগ্ন কুশিয়ারায় মরদেহটি ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। কিন্তু স্রোতের তোড়ে মরদেহটি থানার সীমানা পেরিয়ে যায়।
ফেঞ্চুগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকিরুল ইসলাম বলেন, স্রোতের টানে মরদেহটি বালাগঞ্জ থানা সীমানায় ঢুকে যাওয়ায় উদ্ধার করা যায়নি। অবশ্য ঘটনাটি বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৯ঘন্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭
এনইউ/এসআই/জেএম