শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের একথা জানান ডিএমপির (মিডিয়া) উপ-কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান।
এর আগে, গত ২৫ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন ও ২৬ এপ্রিল জাগো ফাউন্ডেশনকে ই-মেইলের মাধ্যমে হুমকি দেন এ প্রতারক।
মাসুদুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক সীমান্তকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট ও সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগ। এসময় তার কাছ থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন সেট ও রাউটার উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, প্রতারক সীমান্ত পেশায় একজন ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার। তিনি বিভিন্ন প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। বেশি কিছুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা করিয়ে দেওয়ার কথা বলে নুরুল হক মুন্না নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়েছিলো। পরে ভিসা করতে না পারলে মুন্না তার টাকা ফেরত চান সীমান্তের কাছে। সেই টাকা দিতে অপারগ হন তিনি।
পরবর্তীতে, সীমান্ত কৌশলে মুন্নার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংগ্রহ করে মুন্নার নামে একটি ই-মেইল অ্যাড্রেস খোলেন। তাকে বিপদে ফেলার উদ্দেশ্যেই তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও মোবাইল নম্বর দিয়ে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন ও জাগো ফাউন্ডেশনকে ই-মেইলে হুমকি দেন। পাঁচলাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন ও জাগো ফাউন্ডেশনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সিটিটিসির সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগে অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এ প্রতারক সীমান্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করেছেন। বর্তমানে তিনি দুই ই-কমার্স সাইটে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতেন।
সীমান্তর বাবা শওকত জনতা ব্যাংকে এজিএম হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রতারণার অভিযোগে ব্যাংক থেকে তার বাবার চাকরি চলে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭
এসজেএ/এএটি/এএ