ঢাকা আহছানিয়া মিশন নামে একটি এনজিও তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পুলিশের কাছ থেকে গ্রহণ করেছে।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ট্রাভেল পারমিট প্রক্রিয়ায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
হস্তান্তরকৃতরা হলেন-নড়াইলের শামিমা খাতুন (২৩) ও সাগরিকা খাতুন (২৩), রাজবাড়ীর মালা খাতুন (২০), নীলফামারীর পায়েল (১৮), ঠাকুরগাঁওয়ের লাইজু (১৯), নারায়ণগঞ্জের সাহিদা (২৪), ঢাকার শাহনাজ (২২), মাগুরার রেনু খাতুন (২৩), ফরিদপুরের রেনু বেগম (২৫), ঝিনাইদহের মাজেদা খাতুন (২৪), বাগেরহাটের তাহমিনা (২৩) যশোরের রুনা খাতুন ডলি (২৫) ও তার মেয়ে রুমি (৪)।
পুলিশ ও এনজিও সূত্রে জানা গেছে, ভালো কাজের কথা বলে দালালরা তাদের সীমান্তপথে ভারতে নিয়ে যায়। পরে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতের মুম্বাই শহর থেকে পুলিশ তাদের আটক করে জেলে পাঠায়। সেখান থেকে একটি এনজিও তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের আশ্রয়ে রাখে। পরে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে তারা ফেরত আসেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করে জানান, আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের এনজিও কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের তদন্ত কর্মকর্তা শেফালী খানম জানান, ফেরত আসা নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি পাচারকারীদের শনাক্ত করে মামলা করতে চাইলে তাদের আইনি সহয়তা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭
এজেডএইচ/আরআর/আরআই