শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) দিনগত রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত জেলার তিনটি উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড়।
এতে গাছ পড়ে লালমনিরহাট রেলওয়ে কলোনি এলাকায় ৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
প্রচণ্ড বেগে আঘাতহানা ঝড়ে জেলার আদিতমারী, কালীগঞ্জ ও সদর উপজেলার কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। উপড়ে গেছে গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি ও তার। এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে তিস্তার চরাঞ্চলগুলোতে।
কালীগঞ্জ উপজেলার চর বৈরাতীর কৃষক আফাজ উদ্দিন জানান, তার গ্রামের অনেক ঘর ঝড়ে ভেঙে পড়েছে। উপড়ে পড়েছে গাছপালা।
আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউপি সদস্য মতি মিয়া বাংলানিউজকে জানান, চরাঞ্চলের এমন কোনো বাড়ি নেই ক্ষতি হয়নি। লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের গ্রামগুলো। তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে প্রাথমিক জানা যায়নি।
মহিষখোচা ইউপি চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, এ ঝড়ে তার ইউনিয়নে অসংখ্য ঘরবাড়ি নষ্ট হয়েছে।
ঝড়ের কারণে গাছ ভেঙে পড়ে লালমিনহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় রাস্তা সচল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ৫২ হাজার ৫৮৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষ হয়েছে। যা সবেমাত্র পাকা রং ধরেছে। কোনো এলাকায় ধান কাটাও শুরু হয়েছে। এমন অবস্থায় এ ঝড় আর শিলাবৃষ্টিতে ওইসব ক্ষেতের ধান শুয়ে পড়েছে মাটিতে।
লালমনিরহাট কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক বিদ্যুৎ ভূষণ রায় বলেন, এ শিলাবৃষ্টি ধান ও ভুট্টাসহ সবজির ব্যাপক ক্ষতি করেছে। ক্ষতির পরিমাণ জানতে সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তাদের তালিকা করতে বলা হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খাঁন বাংলানিউজকে জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করতে ইউএনওসহ সব দফতরকে মোবাইলে বলা হয়েছে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায় নি।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
জেডএস