বিশেষ করে, লাইব্রেরি সেকশনের অবস্থা যেমন-তেমন গন্থাগারের জার্নাল সেকশনের টয়লেটের অবস্থা ভয়াবহ। পানি স্যাঁতস্যাতে, শেওলা পড়ে আছে, কমোড পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলা একাডেমি গ্রন্থাগার ঘুরে টয়লেটের এমন বেহাল চিত্র দেখা যায়।
গ্রন্থাগার বিভাগের টয়লেট জার্নাল বিভাগের টয়লেটের তুলনায় পরিষ্কার। তবে টয়লেটে প্রবেশ মুখে কাদা-পানি দেখা গেল। তীর চিহ্ন দিয়ে টয়লেট লিখে রাখা। তবে ' টয়লেট ফর মেল' দেখা গেলেও নারীদের জন্য আলাদা কোনো টয়লেটের ব্যবস্থা দেখা গেল না।
পরে গন্থাগারের এক নারী কর্মী জানান, নারীদের জন্য আলাদা কোনো টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। যদি কোনো নারী টয়লেট ব্যবহার করতে চান, তাহলে নারী কর্মচারীদের জন্য যে টয়লেট রাখা আছে, চাবি নিয়ে তা ব্যবহার করতে পারেন।

বাংলা একাডেমির গোডাউন বিল্ডিংয়ের ৩য় তলায় জার্নাল সেকশন। আলমারির তাক পার হয়ে এক ঘুপচির মধ্যে টয়লেট দেখা যায়। যেখানে একটি কমোড, পরিত্যক্ত। একটি প্যান- তাও নোংরা। এই টয়লেটে বালতি ও মগ রাখা। নষ্ট ট্যাপ কল থেকে অনবরত পানি পড়ছে।
জার্নাল বিভাগের ক্যাটালগার মো: রুহুল বাংলানিউজকে বলেন, গোডাউনের অবস্থা খারাপ, আর টয়লেট? কৃর্তপক্ষকে অনেকবার বলা হয়েছে। ঠিক করবে বলেছে, দেখা যাক কি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলা একাডেমির এক পরিচালক ও গবেষক বাংলানিউজকে বলেন, এখানে যারা আসেন তারা কেউ গবেষক, সাহিত্যিক ও উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি। দীর্ঘক্ষণ ধরে এখানে বসে পড়াশুনা করবে, কিন্তু তার পরিবেশ নেই। যে টয়লেটে কোনো ভদ্রলোক যেতে পারে না। এই সেকশনের কর্তৃপক্ষের কোনো মাথা ব্যথা নেই।
বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক (গন্থাগার) সরকার আমিন বাংলানিউজকে বলেন, বাংলা একাডেমির গ্রন্থাগারের অনেক সমস্যা রয়েছে। জার্নাল সেকশনের জায়গা কম থাকায় টয়লেটের ব্যবস্থা ভালো করা সম্ভব হচ্ছে না। উন্নয়নের চেষ্টা চলছে। ডিজিটাল করার প্রস্তাবও করা হয়েছে। তাছাড়া অর্থ সংকটের কারণে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
এমসি/জেডএম