৩৩ শতক জমিতে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গণগ্রন্থাগারটিতে পরিপাটি করে সাজিয়ে রাখা হাজার চল্লিশেক বই ভুগছে পাঠক শূন্যতায়। দৃষ্টিনন্দন এ ভবনের পর্যাপ্ত বসার জায়গাও তাই অধিকাংশ সময় খালি পড়ে থাকে।
পাঠকদের ভাষ্য, শহর থেকে দূরে হওয়ায় সরকারি গণগ্রন্থাগারে যাওয়া হয় না। আবার শহরের প্রাণকেন্দ্র টাউন হল মাঠে বিশাল যশোর ইনস্টিটিউট পাবলিক লাইব্রেরিতে ৯০ হাজারেরও বেশি বই আছে। অধিকাংশ পাঠক বই পড়তে ওই লাইব্রেরিতেই চলে যান।
যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র আরিফ বিল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ‘সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞান, আইনসহ গুরুত্বপূর্ণ অসংখ্য বই রয়েছে সরকারি এ গণগ্রন্থাগারে। কিন্তু সেখানকার যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না। এলাকাটিও তেমনি জ্ঞানচর্চার জন্য উপযুক্ত নয়। আমি বেশ কয়েকবার সেখানে গেলেও বেশি পাঠক দেখিনি। দিনে ১০ থেকে ১২ জনের মতো পাঠক সেখানে যান’।
যশোর সরকারি সিটি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র মিঠুন সরকার জানান, ঘোপ এলাকায় থাকাকালে গ্রন্থাগারটিতে যাতায়াতের বেশ ভালো ব্যবস্থা ছিল। তারা বন্ধুরা মিলে সেখানে বই পড়তে যেতেন। কিন্তু বর্তমান এলাকায় প্রতিনিয়ত চুরি-ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটে। এজন্য বই পড়তে যেতে ভয় লাগে। অনেকে প্রয়োজন থাকার পরও সেখানে যান না।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বন্ধ পাওয়া গেছে গণগ্রন্থাগারটি।
নাজির শংকরপুরের একাধিক বাসিন্দা বাংলানিউজকে বলেন, উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা শেখ হাসিনা সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক চালু হলে অন্যরকম পরিচিতি পাবে এ এলাকা। গণগ্রন্থাগার ঘেঁষা পার্কটি জমজমাট থাকবে শিক্ষিত তরুণ-তরুণী ও শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের পদচারণায়। এতে ধীরে ধীরে বাড়বে পাঠক সংখ্যাও।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
ইউজি/এএসআর