এই বেহাল চিত্র ফেনী জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একসময় এ লাইব্রেরিতে পাঠকের ভিড় লেগেই থাকতো।
আগে এই লাইব্রেরি ছিলো শহরের প্রাণকেন্দ্র ট্রাংক রোড রাজাঝির দীঘির পশ্চিম পাশে। বছর পাঁচেক আগে এটিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সংলগ্ন ওয়াপদা মাঠের উত্তর পাশে নতুন নিজস্ব ভবনে স্থানান্তর করা হয়। ৫ হাজার ৬০০ বর্গফুট জায়গা জুড়ে অবস্থিত এ পাঠাগারে বই আছে ২৭ হাজার। এছাড়া বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক ও ত্রৈমাসিক পত্রিকা এবং সাময়িকী সংরক্ষণ করা হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, কোনো পাঠক চাইলে গ্রন্থাগারের নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করে সদস্য হয়ে বই বাসায় নিয়েও পড়তে পারেন। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পাঠাগার বন্ধ থাকে। অন্যান্য দিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গ্রন্থাগারটি সবার জন্য উন্মুক্ত।
জসিম উদ্দিন নামে এক পাঠক জানান, পুরনো ভবনে থাকাকালে পাঠাগারে স্থানীয় পাঠকরা নিয়মিত য়াতায়াত করত। পুরনো ভবনটি শহরের মূল কেন্দ্রে হওয়ায় সেখানে আশপাশের স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের ভিড় লেগে থাকত। কিন্তু নতুন ভবনে একান্ত দরকার ছাড়া কেউ আসে না।
তবে ফেনী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নাজিফা খাতুন তিশা বলেন, গ্রন্থাগারে পাঠক ফিরিয়ে আনতে শিক্ষা-বিষয়ক নতুন নতুন সেবা চালু করা প্রয়োজন। যেমন, বই পাঠ প্রতিযোগিতা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন করা যেতে পারে। এতে শিক্ষার্থীরা বই পাঠে উদ্বুদ্ধ হবে।
পাঠক শূন্যতা প্রসঙ্গে লাইব্রেরি সহকারী মো. শামসুদ্দীন বলেন, প্রতি বছর সরকার পাঠাগারের জন্য নতুন বই বরাদ্দ দিয়ে থাকে। কিন্তু পাঠকের অভাবে সেগুলো তাকেই সাজানো থাকে।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ডিজিটালাইজেশনের কারণে সব লাইব্রেরিতেই পাঠকের সংখ্যা কমছে। গ্রন্থাগারে ডিজিটাল ব্যবস্থাসহ নতুন নতুন সেবা চালু করা গেলে আবার পাঠক বাড়তে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
এসএইচডি/জেডএম