প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মাসুদ চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, বছর পাঁচেক আগে একবার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে এক লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছিলেন। এর মধ্যে ৫০ হাজার টাকার বই ও ৫০ হাজার টাকা নগদ দেওয়া হয়।
তিনি জানান, প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল, কেয়ারটেকারের বেতন ও রক্ষণাবেক্ষণে খরচ হয় ১২/১৩ হাজার টাকা। এক স্থান থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকার অনুদান ছাড়া নেই কোনো তহবিলও।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে লাইব্রেরিতে গিয়ে দেখা গেছে, বইয়ে পড়েছে ধুলার স্তর, খালি পড়ে আছে চেয়ারগুলোও।
অলস বসেছিলেন কেয়াটেকার আব্দুর রাজ্জাক। তিন বছর ধরে কাজ করছেন এখানে। এর মধ্যে লাইব্রেরিটিতে নতুন কোনো বই আসতে দেখেননি তিনি।
সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তেমন কোনো পাঠকের দেখা মেলেনি। দু’একজন করে এলেও বই পড়তে নয়, বসে গল্প করা বা সময় কাটাতে আসেন তারা।
তবে পাঠকের সংখ্যা বাড়ছে বলে দাবি করেন পরিচালক মাসুদ চৌধুরী। কিছুদিন আগে দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকা রাখা হলেও বর্তমানে বন্ধ হয়ে গেছে। বিষয়টি তার জানা নেই বলেও জানান পরিচালক।
১৯৩৯ সালে রাখাল চন্দ্র মেমেরিয়াল হল নামে স্থাপিত হয় এটি। পরে একটি ক্লাব দখল করে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদকের আঁখড়ায় পরিণত করে। ফলে সাধারণ পাঠক ও জনসাধারণ এখানে আসা বন্ধ করে দেন।
বিষয়টি বুঝতে পেরে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাসুদ চৌধুরী ২০০৯ সালে সাভার পাবলিক লাইব্রেরিটি পুন:স্থাপন ও এর কার্যক্রম চালু করেন। ২০১১ সালে এর আধুনিকায়ন করা হয়।
** অবৈধ স্থাপনার আড়ালে ধুঁকছে কুড়িগ্রাম পাবলিক লাইব্রেরি
** আদর্শ জ্ঞানভাণ্ডার সিরাজগঞ্জ সরকারি গণগ্রন্থাগার
** পাঠকশূন্যতা যশোর গণগ্রন্থাগারে
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
এএসআর