এই মর্মস্পর্শী কবিতার কবি শেখ ফজলল করিমের স্মৃতি ধরে রাখতে কবির গ্রামে গড়ে তোলা পাঠাগারটি আজ আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
জানা যায়, কবির স্মৃতি রক্ষার্থে স্থানীয়দের উদ্যোগে ২০০৫ সালে জেলা পরিষদের অর্থায়নে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা বাজারে কবি শেখ ফজলল করিম স্মৃতি পাঠাগারটি নির্মিত হয়।
পাঠাগারটি দেখভাল করার জন্য মাসিক এক হাজার টাকা সম্মানিতে কেয়ারটেকার হিসেবে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আজিম উদ্দিনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু নিয়োগের আট বছর পেরিয়ে গেলেও একটি টাকাও পাননি তিনি। সাত বছর বিনা সম্মানিতে শ্রম দিলেও মনের ক্ষোভে এক বছর ধরে পাঠাগার খোলেন না আজিম উদ্দিন।
কবি ফজলল করিম স্মৃতি পাঠাগারের কেয়ারটেকার আজিম উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে পাঠাগারের কেয়ারটেকার হিসেবে নিয়োগ পেলেও সম্মানির একটি টাকাও পাননি তিনি। সাত বছর বিনা সম্মানিতে শ্রম দিলেও এক বছর ধরে পাঠাগার খুলেন না তিনি।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় একটি কমিটি পাঠাগারটি পরিচালনা করত। ৩ বছর হয় সেই কমিটিও বিলুপ্ত হয়েছে। এখন পাঠাগার মানেই তিনি একা।
এ পাঠাগারের দ্বিতল ভবনের নিচ তলায় ৪০০ বই ও পড়ার টেবিল চেয়ার এবং একটি ক্রামবোর্ড রয়েছে। উপরে রয়েছে সেমিনার কক্ষ। সবেই আজ অযথাই পড়ে উইপোকার আড্ডায় পরিণত হচ্ছে বলে জানান আজিম উদ্দিন।
পাঠাগারের মূলফটকে ময়লা আবর্জনার স্তুপ দেখে বলার অপেক্ষা রখেনা যে এটি কখনও খোলা ছিল। গেটে দোকান বসিয়ে বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই যে এখানে পাঠাগার আছে।
গেটের পাশে ২০ বছর ধরে ব্যবসা করছেন কামার মেহের আলী। তিনি বাংলানিউজকে জানান, ২/৩ বছর আগে পাঠাগারটিতে ব্যাপক লোক সমাগম হত। গেল এক বছর ধরে গেটের তালাও খোলা হয় না এ পাঠাগারের।
কবি শেখ ফজলল করিম স্মৃতি পাঠাগারের বিলুপ্ত কমিটির সহ সভাপাতি তাহির তাহু বাংলানিউজকে বলেন, কেয়ারটেকারের মাসিক সম্মানির ব্যবস্থা করলে পাঠাগারটি পুনরায় পাঠকপ্রিয়তা ফিরে পাবে। এজন্য তিনি সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
**বরাদ্দের অভাবে ধুঁকছে সাভার পাবলিক লাইব্রেরি
** অবৈধ স্থাপনার আড়ালে ধুঁকছে কুড়িগ্রাম পাবলিক লাইব্রেরি
** আদর্শ জ্ঞানভাণ্ডার সিরাজগঞ্জ সরকারি গণগ্রন্থাগার
** পাঠকশূন্যতা যশোর গণগ্রন্থাগারে
**জামালপুরের লাইব্রেরি কখন বন্ধ-কখন খোলা, বিধাতাই জানে
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
এনটি