বৃহস্পতিবার (২৭) এপ্রিল সকাল ১০টায় লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে কথা হয় তার সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ফেনী পাবলিক লাইব্রেরির সামগ্রিক পরিবেশ খুবই ভাল।
পুরো লাইব্রেরি ঘুরে দেখা যায়, সমস্যা রয়েছে আরো অনেক। এ ব্যাপারে কথা হয় চারণ সংস্কৃতি কেন্দ্র ও লাইব্রেরির প্রধান সমন্বয়ক জসিম উদ্দিনের সঙ্গে।
তিনি বলেন, এ পাবলিক লাইব্রেরিটি শুরু হয়েছিল ১৯৫৯ সালে। তৎকালীন জেলা মহকুমা প্রশাসক নবীণ চন্দ্র সেন ও স্থানীয়দের ব্যক্তিগত প্রয়াসে এটি গড়ে উঠে। কয়েক বছর চলার পর লাইব্রেরিটি বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর ২০০৩ সালের দিকে লাইব্রেরিটি পুনরায় চালু করার সিন্ধান্ত নেয় চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। তখন লাইব্রেরিটি প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। ওই পরিত্যক্ত অবস্থা থেকে আজকের এ অবস্থায় আনা হয়েছে। এখন বই আছে ৪ হাজারের উপরে। জসিম উদ্দিন বলেন, পরিত্যক্ত অবস্থা থেকে লাইব্রেরিটিকে পাঠকের বসার উপযোগী করতে খরচ হয়েছে ২০ লাখ টাকার উপরে। প্রতি মাসে খরচ করতে হয় মোটা অংকের টাকা। কিন্তু সরকারিভাবে পাওয়া যায় না মাসিক কোন বরাদ্দ। সে কারণে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়েই চলতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কথা হয় ফেনীর জেলা প্রশাসক আমিন উল আহসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, লাইব্রেরিটির একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা আমাদের হাতে আছে। আশা করি ফেনীর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে আমরা লাইব্রেরিটি এগিয়ে নিতে পারব।
প্রধান সমন্বয়ক জসিম উদ্দিন বলেন, ৩০ এপ্রিল লাইব্রেরিটির দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে জেলা প্রশাসকের কাছে। এরপর এর নাম ফেনী পাবলিক লাইব্রেরি থেকে নবীণ চন্দ্র সেন পাবলিক লাইব্রেরি হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
এসএইচডি/জেডএম