শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
তিনি লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ১৯৯৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার লাকসাম থানার সাতবাড়িয়া গ্রামের রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে বিয়ে হয় তার।
১৮ জানুয়ারি খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন তিনি। বলেন, মামলা পর থেকে রেফায়েত আমাকে ও আমার ভাই মো. মনিরুজ্জামানকে হত্যার জন্য হুমকি দিয়ে চলেছেন। এমনকি সন্ত্রাসীও ভাড়া করেছে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে। এ মামলায় ৩০ এপ্রিল ধার্য দিন রয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে নাছরিন বলেন, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তিনি খুলনায় এসে হুমকি দিচ্ছেন। আমার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রেফায়েতকে গত বছরের ডিসেম্বরে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ওসি থাকা অবস্থায় পুলিশ লাইনে ক্লোজড করে রাখা হয়েছে।
স্বল্প সময়ের চাকরি জীবনে তিনি কীভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদ, ফ্ল্যাট বাড়ি ও অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন দুদকের প্রতি তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান তিনি।
অভিযুক্ত পুলিশ পরিদর্শক রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী মোবাইলে বাংলানিউজকে বলেন, রুমা আমার স্ত্রী নয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে আমি তাকে তালাক দিয়েছি। মার্চ মাসে সে ভুয়া মামলা করেছে। সে আমার বিরুদ্ধে যা বলেছে তা মিথ্যা।
এ বিষয়ে রুমা বলেন, না আমাকে তিনি তালাক দেননি। আমি তালাকের বিষয়ে কোনো কাগজপত্র পাইনি। মার্চে নয়, আমি জানুয়ারির ১৮ তারিখ মামলা করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
এমআরএম/এএটি/এএ