ফেনী সরকারি কলেজের কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নারী পাঠক শূন্যতার মূল কারণ হলো লাইব্রেরি খোলা রাখার সময়সূচি।
কলেজের মানবিক বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী নাজিফা খানম তিশা বাংলানিউজকে জানান, তারও প্রবল আগ্রহ আছে লাইব্রেরিটিতে গিয়ে বই পড়ে সময় কাটানোর।
নারী পাঠক শূন্যতার ব্যাপারে কথা হয় লাইব্রেরিটির সমন্বয়ক জসিম উদ্দিনের সঙ্গে।
বাংলানিউজকে তিনি জানান, প্রতিদিন এ লাইব্রেরিটিতে ৩০/৪০ জন পাঠক আসে।
এদের মধ্যে নারী পাঠক এক দুইজনও দেখা যায় না।
প্রকৃতপক্ষে, দিনের এ তিন ঘণ্টা পাঠকদের জন্য যথেষ্ট নয়। কিন্তু কি করার আছে? সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা রাখতে গেলে তো আনুসঙ্গিক অনেক খরচের ব্যাপার আছে, সেগুলো আসবে কোথা থেকে।
জেলা প্রশাসকসহ স্থানীয়রা যদি উদ্যোগ নেয় তাহলে লাইব্রেরিটি সকাল সন্ধ্যা খোলা রাখা সম্ভব। তিনি মনে করেন, এভাবে স্বাভাবিকভাবে লাইব্রেরির পাঠক বাড়বে না। পাঠক বাড়াতে হলে লাইব্রেরি আন্দোলনকে সাজামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
এসএইচডি/জেডএম