নাজিমুদ্দিন মুসলিম হল ও পাবলিক লাইব্রেরির ৠাকে এসব প্রাচীন বইয়ের ওপর ধুলোর গড়াগড়ি। কিছু বই পড়ে আছে মেঝেতেও।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) দিনাজপুর শহরের মুন্সিপাড়াস্থ এই লাইব্রেরিতে এমনই চিত্র দেখা গেলো।
এ সময় মামুনুর রশিদ চৌধুরী নামে এক পাঠক বাংলানিউজকে বলেন, এখানকার সব বই অনলাইনে সংরক্ষণ করা উচিত। এতে বার বার সংরক্ষেণের জন্য যেমন অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হবে না, তেমনি খুব সহজেই যে কোন বই বের করা যাবে।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের হাতে হাতে স্মার্ট ফোন। যখন যেটা জানা দরকার মোবাইল থেকেই অনলাইনে সার্চ দিচ্ছে। ইতিহাসের সাক্ষী এসব বইও অনলাইনে সংরক্ষণ করা দরকার।
খাজা নাজিমুদ্দিন মুসলিম হল ও পাবলিক লাইব্রেরির ভারপ্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ান মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের এই লাইব্রেরিতে কয়েকশ’ বছরের পুরনো বই আছে। এগুলো কয়েক বছর পর পর ঠিক করতে হয়। এজন্য প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান পাওয়া মুশকিল। কিন্তু এক খরচে চিরদিনের জন্য সংরক্ষণ মানেই অনলাইন। এতে বর্তমান ও ভবিষৎ প্রজন্ম খুব সহজেই যে কোনো প্রাচীন বই-পত্রিকা খুঁজে পাবে।
নাজিমুদ্দিন মুসলিম হল ও পাবলিক লাইব্রেরিতে ৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। প্রতি বছর এখানে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে অনুদান দেওয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুলই বটে। তারওপর গত বছর অনুদানের টাকা ৫০ হাজার থেকে কমে ৪০ হাজারে নেমেছে। কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে কেবল অফিসের জন্য। এখানে ৯টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা নেওয়া হয়। তবে দিন দিন পত্রিকার পাঠক কমছে। এক সময় এখানে বাসার জন্য আসন না পাওয়া গেলেও এখন বসার লোকেরই বড় অভাব।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
জেডএম/