নতুন দু’টি মেট্রোরেলের একটি শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার পাশ দিয়ে কমলাপুর পর্যন্ত যাবে। আবার বসুন্ধরার পাশ দিয়ে পূর্বাচল টার্মিনাল পর্যন্ত আরেকটি লাইন যাবে ১০ কিলোমিটার।
অন্য লাইনটি হবে হেমায়েতপুর থেকে গুলশান হয়ে নতুনবাজার-ভাটারা পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার। এ লাইনটির একাংশ হবে মাটির তল দিয়ে।
ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ সূত্র বাংলানিউজকে এ তথ্য জানায়। রাজধানীর ভেতরে মেট্রোরেলের পরিকল্পনা ও অনুমোদন দেয় এ সংস্থাটি।
সংস্থাটির সাম্প্রতিক বৈঠকে বর্তমান মেট্রোরেলের চলমান কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনার পাশাপাশি নতুন দু’টি মেট্রোরেল রুট ও ডিপো নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
ডিটিসিএএ সূত্র জানায়, ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিটে (এমআরটি লাইন-১) বিমানবন্দর থেকে ৯টি স্টেশন হবে। এগুলো হলো- খিলক্ষেত, কুড়িল, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা গেট, বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ ও কমলাপুর। আর কুড়িল থেকে পূর্বাচলের দিকে ১০ কিলোমিটার লাইন উপর দিয়ে এলিভেটেড আকারে যাবে। এর সম্ভাব্য স্টেশন হলো- বসুন্ধরা, মাস্তুল, পূর্বাচল, পশ্চিম পূর্বাচল সেন্টার ও পূর্বাচল টার্মিনাল।
বিমানবন্দর-কমলাপুর মেট্রোরেলের প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। মূল সম্ভাব্যতা যাচাই করছে জাপানভিত্তিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা। সম্ভাব্যতা সমীক্ষার আওতায় মাটি পরীক্ষা ‘পাবলিক কনস্যুলেশন’ কাজ শেষ হবে আগামী বছরের জুন মাসে।
গত সপ্তাহে ডিটিসিএর ৯ম বৈঠকে মেট্রোরেলের সয়েল ইনভেস্টিগেশনে অনুমতিপত্র চাওয়া হয়। অনুমতি পেলেই শুরু হবে বাকি কাজ।
আর পূর্বাচল ৩০০ ফিট রাস্তার শেষ প্রান্তে কাঞ্চন ব্রিজের পশ্চিম পাশে এমআরটি-১ এর ডিপোর জন্য ১০০ একর এবং হেমায়েতপুর এমআরটি লাইন-৫ ডিপোর জন্য ১০০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে। যে কাজ এখনও বাকি। ডিপোর জায়গা রাজউকের ড্যাপ–এ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বৈঠকে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, প্রথম মেট্রোরেলটি উত্তরা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ২০১৯ সালে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। একই সঙ্গে বাকি দু’টি মেট্রোরেলের কাজও চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
এসএ/এএ