নাব্যতা সঙ্কটের পাশাপাশি অস্তিত্ব সঙ্কটেও রয়েছে এ নদী। নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় মাইলের পর মাইল এলাকাজুড়ে জেগে উঠেছে বালুচর।
বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর থেকে পশ্চিমে তাকালে সংকীর্ণ যমুনার চেহারাই ভেসে উঠে চোখের সামনে।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে সিরাজগঞ্জে যাওয়ার পথে যমুনার বুক চিরে চিক চিক করা ধূ-ধূ বালুকণার এমন দৃশ্য দেখা গেলো।
বরষায় যমুনা মানেই নিরবধি বয়ে চলা পানির স্রোত। কিন্তু এ সময়টাতে যমুনাতে চোখ রাখলে এর সংজ্ঞা নিয়েই যেনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
মরুময় যমুনার বুকে কোথাও কোথাও সবুজ দুর্বা ঘাসের গালিচা চোখে পড়ে।
দেখা গেছে, যমুনার বুক চিরে শুকনো মৌসুমে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বালুদস্যুরা। ভারী বরষায় কমে যায় তাদের দাপট। বাকী সময়টা যন্ত্রদানবে চলে তাদের বালু বাণিজ্য।
যমুনার বিভিন্ন জায়গা থেকে বালি উত্তোলনের পর স্তূপ করে রাখা হয়। এ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের নীরবতা প্রশ্নবোধক।
স্থানীয়রা জানায়, ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের জন্য ব্যবহার করা হয় পাইপ। এ পাইপ দিয়েই বালু এসে জমা হয়।
বালু উত্তোলনের জন্য যমুনার বিভিন্ন স্থানে দিন-রাত অবৈধ ড্রেজারও চালানো হয়। ক্ষত-বিক্ষত আর কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে যমুনার বুক।
আবার কোথাও কোথাও নদীর তলদেশ এখন বিস্তীর্ণ মাঠ। নদীর বুকে চলছে চাষাবাদও। সেখানে কৃষক ফলাচ্ছেন স্বপ্নের ফসল।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
এমএএএম/এসএনএস