তিনি বলেন, ‘এটি একটি ভালো কাজ। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে এমন কাজ হোক- এটা অনেকেই চান না।
মঙ্গলবার (২৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় বিমানবন্দর সড়কের হোটেল রেডিসন সংলগ্ন এলাকায় বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘এ কাজটি কেউ করেনি অতীতে। এটিকে অ্যাপ্রিশিয়েট করেন’।
সেতুমন্ত্রী জানান, ‘ঢাকার সব প্রবেশপথে এমন বিউটিফিকেশন করতে চাই। প্রথমে এ সড়কটিকে বেছে নিয়েছি। আউটসোর্সিং করে আমরা সব প্রবেশপথে বিউটিফিকেশন করবো’।
বনসাই লাগানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বনসাই ছাড়াও অন্যান্য দেশি গাছ বেশি লাগবে এ সড়কে।
এখানে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ করছে ‘ভিনাইল ওয়ার্ল্ড গ্রুপ’। বনানী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ০৬ কিলোমিটারের সড়কটি হবে দেশের সবচেয়ে সবুজায়িত ও প্রথম ডিজিটাল সড়কপথ।
সড়কটিতে ১০টি ডিজিটাল যাত্রী ছাউনি বসানোর কাজ চলছে। পুরো সড়কপথে থাকবে ওয়াইফাই, সিসি ক্যামেরা, ফ্রি মোবাইল চার্জিং স্টেশন, ডিজিটাল ডাস্টবিন, ডিজিটাল ট্রাফিক সাইন, বেন্ডিং মেশিন, ডিজিটাল অ্যাডভার্টাইজমেন্ট বোর্ড, এটিএম বুথ, অটো রোড ডাস্ট ক্লিনার, এলইডি স্ট্রিট লাইট, এলইডি অরনামেন্টাল গার্ডেন লাইট এবং ডিজিটাল পুলিশ বক্স।
আর রাস্তার দুই ধারে ওয়াকওয়ে ধরে বসবে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা। সাড়ে ৫ লাখ বৃক্ষশোভিত হবে এই সড়কপথ। এর মধ্যে ৫০০টি বনসাই বৃক্ষ লাগানো হবে শোভা বর্ধনে। তবে দেশীয় গাছই থাকবেই বেশি।
৩টি স্মৃতিস্তম্ভ হচ্ছে এখানে। ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ভাষা ও স্বাধীনতার আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনাপ্রবাহ ফুটে উঠবে স্মৃতিস্তম্ভগুলোতে। থাকবে ১২টি মাউন্টেন ঝরনাও। আর নিকুঞ্জ থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত পৃথক সাইকেল লেন করা হবে।
কুড়িল এলাকায় রেললাইন পারাপারে একটি ফুট ওভারব্রিজও নির্মাণ করে দিচ্ছে ভিনাইল ওয়ার্ল্ড গ্রুপ। যেন রেলে কাটা পড়ে মৃত্যু বন্ধ হয়।
পুরো বিউটিফিকেশন কাজে ব্যয় হচ্ছে ৯০ কোটি টাকা। নিজস্ব অর্থায়নে ‘ভিনাইল ওয়ার্ল্ড’ এটি করে দিচ্ছে। প্রতি বছরে এই ০৬ কিলোমিটার সড়কের রক্ষণাবেক্ষণে তারা ব্যয় করবে পাঁচ কোটি টাকা। এভাবে ১০ বছর তারা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, মে ২৩ ২০১৭
এসএ/এএসআর