মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুর দেড়টায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বাংলানিউজকে একথা জানিয়েছেন।
তিনি জানান, তদন্তের স্বার্থে ও বিচার কার্যক্রম আরও সহজ করতে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর আপন জুয়েলার্সের মালিকপক্ষকে আরও ২ দিনের সময় দিয়েছে।
এর আগে ১৭ মে শুল্ক গোয়েন্দায় হাজির হলে আপন জুয়েলার্সের মালিকদের দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা ১০ মিনিট অবধি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদে আপন জুয়েলার্সের জব্দকৃত স্বর্ণ ও ডায়মন্ডের বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তখন আপন জুয়েলার্সের মালিকরা শুল্ক গোয়েন্দার কাছে সকল কাগজপত্র দেখাতে ১৫ দিনের সময়ের আবেদন করলে অধিদপ্তর ২৩ মে পর্যন্ত সময় মঞ্জুর করে।
এছাড়া শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ ১৪-১৫ মে আপন জুয়েলার্সের গুলশান ডিসিসি মার্কেট, গুলশান অ্যাভিনিউ, উত্তরা, মৌচাক ও সীমান্ত স্কয়ার শাখায় অভিযান পরিচালনা করে প্রায় সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণালংকার ও ৪২৭ গ্রাম ডায়মন্ড ব্যাখ্যাহীনভাবে মজুদ রাখার দায়ে সাময়িকভাবে জব্দ করে।
মূল্যবান এসব সামগ্রী সরবরাহের বিষয়ে কোনো ধরনের বৈধ দলিলাদি আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ দেখাতে না পারায় এবং প্রাথমিকভাবে তথ্য যাচাই করে আমদানি ও ক্রয়ের উৎস দপ্তরের তদন্ত দলের কাছে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় এসব সম্পদ সাময়িকভাবে আটক করে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, প্রথমবার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার বলেন, আমরা কোনো অবৈধ স্বর্ণের ব্যবসা করি না। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে সততা ও সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছি। আমাদের দোকানে অবৈধ কোনো স্বর্ণ বা ডায়ামন্ড নেই। এছাড়া আমাদের সব কিছুরই বৈধ কাগজপত্র আছে, সেগুলো জমা দেয়াটা এখন সময়ের ব্যাপার। অন্যান্যরা যেভাবে ব্যবসা করছে, আমরাও একইভাবে ব্যবসা করছি। সুতরাং আপন জুয়েলার্স বন্ধ করতে হলে দেশের সব জুয়েলার্স বন্ধ করতে হবে।
অপরদিকে আপন জুয়েলার্সের স্বর্ণ জব্দ করায় ১৮ মে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাজুস সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয়। কিন্তু ঘণ্টা তিনেক না যেতেই সেই ধর্মঘট আবার তুলে নেয় সংগঠনটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭/আপেডট: ১৩৫৯ ঘণ্টা
এসজে/আরআইএস/এমজেএফ