মঙ্গলবার (২৩ মে) বেলা সোয়া ১১টায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের তেতলী ইউনিয়নের তেলিবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের মো. আনোয়ারুল হকের ছেলে অটোরিকশা যাত্রী মারজান (১৯) ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মিনিখলা গ্রামের সুফিয়ান মিয়ার শিশু সন্তান আদিল (৪)।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, স্থানীয় লালাবাজার থেকে যাত্রী নিয়ে সিলেটের উদ্দেশে যাওয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি মহাসড়কের তেলিবাজার এলাকায় পৌঁছালে থামানোর সিগন্যাল দেন সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট কাজী আসাদুজ্জামান। কিন্তু অটোরিকশাটি ট্রাফিক সার্জেন্টকে দেখে গাড়ি ঘুরিয়ে নিতে চেষ্টা করে। এ সময় পেছন থেকে আসা একটি মাইক্রোবাস সিএনজি অটোরিকশাটিকে চাপা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা ট্রাফিক সার্জেন্টের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
দুর্ঘটনায় আহত হন- দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মিনিখলা গ্রামের সুফিয়ান মিয়ার স্ত্রী জুহেনা বেগম (২৮), সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার নারিকেল তলা গ্রামের মৃত আনোয়ার হকের স্ত্রী হাফছা বেগম (৫০), একই উপজেলার গৌরিগাও গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে রুমন আহমদ (২৫)।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, দুর্ঘটনার পর আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে অস্ত্রপচারের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দু’জনে মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭
এনইউ/জিপি/এসএইচ
** সিলেটে ট্রাফিক সার্জেন্টের মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ