ওই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করেছে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে তদন্ত কমিটি করে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তরুণ কুমার সরকার জানান, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হাবিবুর রহমানকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মফিজুদ্দিন মোল্লা ও শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক আকবর হোসেন।
এ ঘটনায় পরীক্ষক ড. আবুল কালামকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিজ বেতনে ও বেতনক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে ওএসডি করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ-১ এর সিনিয়র সহকারী সচিব আবু কায়সার খান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেওয়া হয়।
এছাড়াও রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ শাহ মুখদুম কলেজের প্রভাষক মাসুদুল হাসানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছে।
সোমবার (২২ মে) সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুন্নুজান হলের দ্বিতীয় তলার ১ নম্বর ডরমেটরির বারান্দায় পড়ে থাকা একটি ব্যাগ থেকে ১০০ উত্তরপত্র উদ্ধার করা হয়। পরে খাতাগুলো শিক্ষাবোর্ডে নিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ। খাতার কোর্ড নম্বর- ২৬৮। ইসলামের ইতিহাসের খাতাগুলো মূল্যায়নের জন্য রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবুল কালামের কাছে বোর্ড থেকে পাঠানো হয়েছিল।
কিন্তু ওই উত্তরপত্রগুলো মূল্যায়নের জন্য তিনি শাহ মখদুম কলেজের প্রভাষক ও এমপিথ্রি কোচিং-এর রাবি শাখার পরিচালক মাসুদুল হাসানকে দেন। মাসুদুল হাসান উত্তরপত্রগুলো তার কোচিংয়ে কর্মরত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে দেন। ওই শিক্ষার্থী মূল্যায়নের জন্য কিছু খাতা নিজের কাছে রাখেন আর কিছু খাতা মূল্যায়ন করে দিতে তার এক বান্ধবীকে দেন।
খাতা উদ্ধারের পর সোমবার রাতেই দুই শিক্ষককে শিক্ষাবোর্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাদের ছেড়ে দেয় বোর্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭
এসএস/এমআইএইচ/জিপি/এএসআর