প্রাইভেটকারটির চালক গতি কমান। আমিনুল পেছন ফিরে গ্যাস সররাহের জন্য নজেল নিতে যান।
তৎক্ষণাৎ আমিনুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো গেলো না। প্রাইভেটকার চালকের বেখেয়ালি-বেপরোয়া আচরণে সহকর্মীদের সামনেই ঝরে গেল কর্মচঞ্চল এই প্রাণ।
ব্যস্ত সড়কেও নয়, যানবাহনের মধ্যে সংঘর্ষেও নয়, শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে নিজের ১৩ বছরের কর্মস্থল শাহবাগের পরীবাগে ফিলিং স্টেশন শাহজাহান এন্টারপ্রাইজে আমিনুলের এমন মৃত্যু মানতে পারছেন না তার সহকর্মীরা।
ওমর ফারুক নামে এক সহকর্মী বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন আমিনুলের জন্য। বলেন, আমিনুল আমার দীর্ঘদিনের সহকর্মী ছিলেন। রাস্তাঘাটে দুর্ঘটনায় মারা গেলেও না হয় মনকে কিছু বলতে পারতাম। কিন্তু এভাবে নিজের কর্মস্থলে এমনভাবে মৃত্যু, কী বোঝাই মনকে?
ওমর ফারুক জানান, ৩ সন্তানের জনক ছিলেন আমিনুল হক। কাজের প্রতি আন্তরিক ছিলেন এই মধ্যবয়সী। তার এমন মৃত্যু অন্য সহকর্মীদেরও ব্যথিত করেছে ভীষণভাবে।
স্বামীর মৃত্যুর খবরে ঢামেকে ছুটে আসা আমিনুলের স্ত্রী জাহেদা আক্তারের সঙ্গে কথা বলতে গেলেও তাকে কিছুক্ষণ নির্বাক থাকতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে তিনি স্বজনদের জড়িয়ে বিলাপ করতে থাকেন, ‘এখন আমার কী হবে রে? আমার সন্তানদের কী হবে রে? আমি স্বামী হারা হলাম রে, আমার সন্তানদের কী হবে রে…। ’
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বাংলানিউজকে জানান, সাদা রংয়ের ঘাতক প্রাইভেটকারটি আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। গাড়ির চালক পালিয়ে গেছেন। তবে এর চালক-মালিকের সন্ধানে তৎপর হয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় এক ব্যক্তির মৃত্যু
বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৭
এজেডএস/এইচএ