বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) বিকেলে শাহজাদপুর উপজেলার এনায়েতপুর থানা এলাকায় ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার বিকেলে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শিশুটির বাবা শুক্রবার রাতে জানান, একই গ্রামের আমিরুল ইসলামের বৃদ্ধা মায়ের কাছে আরবি শিখতে যেত তার মেয়ে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়িতে কোন লোকজন না থাকার সুযোগে আমিরুল ইসলামের ছেলে জোবায়ের তার শিশুকন্যাকে চকলেট কিনে দেয়ার লোভ দেখিয়ে ওই বাড়িতেই মুখে গামছা বেঁধে ধর্ষণ করে।
আহত অবস্থায় শিশুটি এসে স্বজনদের বিষয়টি জানায়। কিন্তু মানসম্মানের ভয়ে পরিবারের লোকজন বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করে। শুক্রবার বিকেলে শিশুর গোপনাঙ্গ থেকে রক্ত ঝরলে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের ডা. ফয়সাল আহম্মেদ বাংলানিউজকে জানান, শিশুটির প্রস্রাবের রাস্তা বন্ধ আছে, তলপেটেও ব্যাথা রয়েছে। তাকে চিকিৎসা করা হচ্ছে।
হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সহকারী রেজিস্টার ডা. ফারহানার উদ্বৃতি দিয়ে তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে যৌন হয়রানির বিষয়টা প্রতীয়মান হয়েছে। শনিবার মেডিকেল বোর্ড বসিয়ে পরীক্ষার পর বিষয়টি জানা যাবে।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক আনিসুর রহমান জানান, আমরা হাসপাতালে গিয়ে মেয়েটির শারীরিক অবস্থার খবর নিয়েছি। বিষয়টি এনায়েতপুর থানাকে অবহিত করা হয়েছে।
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, সদর থানার ওসি আমাদের বিষয়টি জানিয়েছেন। তার আগে এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। শনিবার সকালে মামলা দায়ের হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৭
এমআইএইচ/এমজেএফ