গত ১ সেপ্টেম্বর বাহরাইন থেকে ফিরে এসে বহুতল ভবনের বাসা উদ্বোধনের আগের দিন ওই বাসাতেই তার ‘গলায় ফাঁস’ লাগিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে পরিবার ও এলাকাবাসীর মাঝে রহস্যের দানা বাঁধে।
আতিয়া সুলতানা পার্শবর্তী গোপালপুর উপজেলার ডুবাইল এলাকার আব্দুল কদ্দুসের ছেলে বাহরাইন প্রবাসী মুক্তার হোসেনের (৩২) স্ত্রী।
আতিয়ার পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে ঢাকার তিতুমীর কলেজে অনার্স পড়ার সময় মুক্তারের সাথে মধুপুর পৌর শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার আব্দুল আজিজের মেয়ে আতিয়ার বিয়ে হয়।
বিয়ের পর তার স্বামী বাহরাইন চলে যান। স্বামী বিদেশ থাকাকালে মুক্তারের পরিবারের সাথে আতিয়ার বনিবনা হচ্ছিল না। ননদ কল্পনা আক্তার তাকে জ্বালাতন করতেন বলে অভিযোগ করেন আতিয়ার খালা হাফিজা।
আতিয়ার ছোট ভাই আতিকুর জানান, স্বামী বিদেশ থাকাকালে একবার বড় ধরনের সমস্যায় মধুপুর পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সরকার শহিদের মধ্যস্থতায় স্ট্যাম্পের মুচলেকায় স্বাক্ষর দিয়ে সমাধান হয়। পরে মুক্তার এসে আতিয়াকে বাহরাইন নিয়ে যান। সেখানে তাদের সংসারে একটি মেয়ে সন্তান হওয়ার পাঁচ বছর পর সাত মাস আগে আবারও একটি ছেলে সন্তান হয়।
এদিকে আতিয়া সপরিবারে গত ঈদুল আজহার আগের দিন ১ সেপ্টেম্বর মধুপুর ফিরে এসে নিজেদের পাঠানো টাকায় কেনা জমির ওপর তৈরি বহুতল ভবনের বাসা উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শুক্রবার বিকেলে আতিয়ার পরিবারকে খবর দেওয়া হয় আতিয়া ফাঁস দিয়েছেন। এর আগেই তাকে মধুপুর উপজেলা হাসপাতাল থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর জন্য বলা হয়। কিন্তু ময়মনসিংহে না নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে বাসায় ফিরিয়ে আনা হয়।
আতিকের অভিযোগ, তার বোনকে মেরে ফেলার পর সন্দেহ এড়াতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখানো হয়েছে। তার বোনের মরদেহে আত্মহত্যার চিহ্ন নেই।
আতিয়ার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি বর্তমান পৌর মেয়র মাসুদ পারভেজ ও পুলিশকে জানিয়েছে। পুলিশ রাত ৮টার দিকে ওই ভবন থেকে আতিয়ার মরদেহ সুরতহাল করে থানায় নিয়ে যায়।
মধুপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফকরুল জানান, আইনি প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি চলছে। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী মুক্তার গা ঢাকা দিয়েছেন বলেও জানান এসআই।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৭
এমআইএইচ/এমজেএফ