শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের কুড়া উদয়পুর গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং একই সময় ঘটনাস্থল থেকে তার স্বামীকে আটক করা হয়।
নিহত রুকসানা খাতুন একই উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের বিয়ারা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে।
জামতৈল ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আব্দুল গনি জানান, প্রায় ১২/১৩ বছর আগে কুড়া উদয়পুর গ্রামের সবদের আলীর ছেলে আব্দুল হামিদের সঙ্গে বিয়ারা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে রুকসানার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই হামিদ ও তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন সময় যৌতুক দাবি করে আসছিল। এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ-বৈঠকও হয়েছে।
নিহতের বাবা দেলোয়ার হোসেনের অভিযোগ, এর আগে দফায় দফায় যৌতুক দাবি করতো রুকসানার স্বামী হামিদ। জমি কেনার জন্য সম্প্রতি আবারও সে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। যৌতুকের টাকা না দেয়াতেই শুক্রবার (৩ নভেম্বর) গভীর রাতে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রুকসানাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। পরে ঘরের ধর্ণার সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা হিসেবে চালানোর চেষ্টা করে।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবাইয়দা খান বাংলানিউজকে জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। রুকসানার বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে হামিদকে আটক করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা নিশ্চিত হওয়া যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, ০৪ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ