কিন্তু বর্তমানে বাস্তবে এর মিল খুঁজে পাওয়া কঠিন। এ বছর বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে হাওরের ফসল।
চলিত বছরে ধান ডুবে গিয়ে হাওরে অ্যামেনিয়া গ্যাস তৈরি হওয়ায় মাছে মড়ক দেখা দেয়। এতে হাওর ও সুনামগঞ্জের নদীতেগুলোতে মরতে থাকে মাছ। হাওর বিপর্যয়ের কয়েক মাস কেটে গেলেও মিলছে না আগের মতো কাঙ্খিত দেশি মাছ। বর্তমানে সুনামগঞ্জের বাজারে শুধু পুকরে চাষ করা পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া পাওয়া যায়। আর যা কিছু দেশি মাছ বাজারে আসে সেগুলো পাইকাররা চড়া দামে কিনে বেশি মুনাফার আশায় ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়।
বিশ্বম্ভপুর উপজেলার কৃষক আব্দুল কাইয়ুম বাংলানিউজকে বলেন, দেশি মাছ পাওয়া এখন অনেক কঠিন। আমি নিজেও হাওরে যাই টেলা জাল নিয়ে মাছ ধরতে। কিন্তু দুই তিন ঘণ্টায়ও ছোট ডেগ দিয়ে এক মাছ ধরতে পারি না। আর আগে জাল ফেলা মাত্রই মাছ ওঠত।
সুনামগঞ্জ শহরের মাছ বাজারের এক ক্রেতা সুমন আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, সুনামগঞ্জে দেশি মাছের আকাল পড়ে গেছে। মাছ তো চোখেই দেখি না। যা আছে সব চাষের পাঙ্গাস আর তেলাপিয়া। কি করব এসব খেয়েই বেঁচে আছি আমরা।
মাছ বিক্রেতা দিলদার আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, দেশি মাছ বাজারে কম আসে। বেশিরভাগ পুকুরের মাছই বাজারে বেশি আসে। দেশি মাছের দাম বেশি তাই বিক্রি করাও আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। ক্রেতারা দামাদামি করে চলে যায়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শংকর রঞ্জন দাস বাংলানিউজকে বলেন, দেশি মাছ বাড়ানোর জন্য আমরা হাওরে অনেক মাছ ছেড়েছি। অনেক সময় জেলেরা ছোট মাছ শিকার করে ফেলে। সে কারণে অসুবিধা হয়ে যায়। তবে দেশি মাছের সরবরাহ বাজারে ভালই আছে। তেলাপিয়া-পাঙ্গাস দামে কম তাই চাহিদা একটু বেশি থাকতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৭
এনটি