দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত কামরুজ্জামান মাসুম জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার নটাবাড়িয়া গ্রামের সরদার মো. বয়াত রেজার ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নাটোর নারী ও শিশু আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শাজাহান কবির।
তিনি জানান, মাসুম নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার কাদিরাবাদ সেনানিবাসের ইঞ্জিনিয়ার কোরে সৈনিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৫ সালের ২২ জানুয়ারি দুপুরে মাসুম তার কর্মস্থল নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুর কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট থেকে নাইট পাশ নিয়ে বাড়িতে আসেন। এরপর তিনি তার মেয়ে মেহেরীন জামান মায়াকে (১১) দাদার বাড়ি নটাবাড়িয়ায় নেওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে করে নেংকটাদহ এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে মেয়ের মুখে ঘটনা শুনে মায়ার মা আঞ্জুমান আরা বাদী হয়ে ২৪ জানুয়ারি বড়াইগ্রাম থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে মাসুমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন বড়াইগ্রাম থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিবুর রহমান। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় সোমবার এ রায় দেন বিচারক মো. হাসানুজ্জামান।
আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোজাম্মেল হক মন্টু।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৭
এসআই