সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলার দড়িগাঁও গ্রামের একটি পুকুরে কচুরীপানার স্তুপের নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-ওই গ্রামের ওয়াজউদ্দীনের ছেলে আনোয়ার ও আফতাব উদ্দিনের ছেলে মকবুল।
নিহতের আত্মীয় হাসান আলী বাংলানিউজকে জানান, ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় মোবাইলে কথা বলতে বলতে বাড়ি থেকে বের হন গহরদী গ্রামের আবুল কাসেমের একমাত্র ছেলে ইউনুছ। তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ।
৬ অক্টোবর আড়াইহাজার থানায় ইউনুছের বোন মল্লিকা বেগম বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ।
কিন্তু থানায় অনেকবার ধরনা দেওয়ার পর ও পুলিশ কোনো তদন্ত করেনি। এলাকার প্রভাশালীদের কথায় বাদীকে ধমকে তাড়িয়ে দেন জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাহফুজ রানা।
তিনি বাদীকে বলেন, তারাই নাকি ইউনুছকে লুকিয়ে রেখে থানায় মিথ্যা জিডি করেছে। এরপর বাধ্য হয়ে মল্লিকা বেগম নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
হাসান আলী আরো জানান, নারায়ণগঞ্জ ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ মুন্সি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা থেকে রোববার (৫ নভেম্বর) রাতে আসামি আনোয়ারকে গ্রেফতার করে ও তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার (৬ নভেম্বর) তার বাড়ির পেছনের একটি পুকুর থেকে ইউনুছের অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
প্রায় চার বছর আগে ঘাতক আনোয়ারের কাছে পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রির নগদ চার লাখ টাকা আমানত রেখেছিলেন ইউনুছ। ওই টাকা চাইতে গেলে ইউনুছকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন আনোয়ার।
এ ব্যাপারে তখনি আড়াইহাজার থানায় অভিযোগ দিলে আনোয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু প্রভাবশালীদের তদবিরে তখনো তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। অবশেষে চার বছর পর তার হুমকির প্রতিফলন ঘটালো ঘাতক আনোয়ার ইউনুছকে হত্যার মধ্য দিয়ে।
আড়াইহাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজ রানার সঙ্গে কথা বলার জন্য বার বার তার মোবাইল ফোনে কল দিলেও তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ হক।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৭
এএটি