ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ফেলানীর নামে সড়কের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০১৮
ফেলানীর নামে সড়কের দাবি নাগরিক পরিষদের মানববন্ধন/ ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাঁটাতারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত ফেলানীর নামে গুলশান-১ থেকে তেজগাঁওমুখী সড়কের নামকরণের দাবি জানিয়েছে নাগরিক পরিষদ নামে একটি সংগঠন।

ফেলানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে রোববার (৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শামছুদ্দীন বলেন, ভারতের প্রতি বাংলাদেশের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্ত হত্যা বন্ধ হচ্ছে না।

বরঞ্চ দিন দিন বাংলাদেশের সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার ঘটনা বেড়েই চলেছে। দেশের কোনো সরকারই এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ নেয়নি।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১৫শ’ নাগরিককে সীমান্তে হত্যা করেছে ভারতীয় বাহিনী। এর দায় আমাদের দেশের নেতাদেরই নিতে হবে। কারণ তারা ক্ষমতায় আসার জন্য ভারতের তাবেদারি করে। তারা কি আমাদের প্রতিনিধিত্ব করে নাকি ভারতের এজেন্টের দায়িত্ব পালন করে?

বাংলাদেশের কোনো দলই এই সীমান্ত হত্যার বিষয়ে কথা বলে না। বিএনপি বা আওয়ামী লীগ কোনো দলই ভারতকে নারাজ করে কথা বলতে চায় না বলেও মন্তব্য করেন শামছুদ্দীন।

ফেলানী হত্যাকারীর ফাঁসির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ফেলানী হত্যাকারী বিএসএফ জোয়ান অমিয় ঘোষের ফাঁসি ভারতের সুপ্রিমকোর্টকে নিশ্চিত করতে হবে। তা নাহলে বোঝা যাবে তারা সীমান্ত হত্যাকে সমর্থন করে।

২০১১ সালের ০৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর-দিনহাটা সীমান্তের খিতাবেরকুঠি এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা ফেলানী খাতুন নামে ওই কিশোরীকে গুলি করে হত্যা করে। ফেলানীর লাশ পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল। বাবার সঙ্গে ফেলানী নয়াদিল্লিতে গৃহকর্মীর কাজ করতো। বিয়ের উদ্দেশে সে দেশে ফিরছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা  জানুয়ারি ০৭, ২০১৮
এমএসি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।