রাজধানীবাসীর যানজট থেকে একটু হলেও স্বস্তি ফিরিয়ে দিতে মাসব্যাপী অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন। এ বছরের ২৪ জানুয়ারি ডিএসসিসি’র বোর্ড সভায় বিশেষজ্ঞ ও ট্রাফিক বিভাগের সমন্বয়ে ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে ডিএসসিসি’র বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান চলবে।
ওই বোর্ড সভায় বিশেষজ্ঞ মতামতের সময় পরিবহন বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী শামসুল হক বলেছিলেন, নগরীর ফুটপাতগুলো দখলমুক্ত করতে পারলে ২৫ শতাংশ যানজট কমে যাবে। এর পেছনে যৌক্তিকতা হিসেবে বলেছিলেন, মানুষ যদি ফুটপাত দিয়ে মুক্তভাবে হাঁটতে পারতো তাহলে অনেক সময় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করত না। এছাড়া ফুটপাত দখলে থাকায় অনেক সময় রাস্তা দিয়ে আড়াআড়ি ভাবে মানুষ হেঁটে যায়, ফলে গাড়ির গতি কমে আসে।
এসব যুক্তি আমলে নিয়ে মেয়র ঘোষণা দিয়েছিলেন, ডিএসসিসি’র প্রতিটি ফুটপাত দখলমুক্ত করে মানুষের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এছাড়া যানজট নিয়ন্ত্রণে যা যা করার করা হবে। সেই লক্ষ্যে ডিএসসিসি’র প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে ডিএসসিসি'র ট্রাফিকের যুগ্ম কমিশনার, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, জোনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও ডিপিডিসি'র প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
ফেব্রুয়ারি মাস গিয়ে মার্চ মাস শুরু হয়েছে। এখনও ফুটপাত দখলমুক্ত করার অভিযান চোখে পড়েনি নগরবাসীর। এমনকি ডিএসসিসি’র কর্মকর্তাদের তৎপরতাও সেভাবে দেখা যায়নি।
যদিও কমিটি প্রধানের দাবি, ফেব্রুয়ারি মাসে যে ক’দিন পুলিশ পাওয়া গেছে, সে ক’দিন অভিযান চালানো হয়েছে। প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এটা নিয়মিত কাজ। অনেক জায়গায় উচ্ছেদ করার পর আবার দখল হয়েছে। আমরা যখন যেটা পাচ্ছি, উচ্ছেদ করছি। এর ফলে মানুষের মধ্যে দখলের প্রবণতা কিছুটা কমেছে।
এই এক মাসে কতগুলো অভিযান পরিচালিত হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে ক’দিন পুলিশ পেয়েছি, সে ক’দিন অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এটি চলমান প্রক্রিয়া, চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৮
এসএম/এসআই