রোববার (০৪ মার্চ) র্যাব-৯ এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমদ বাংলানিউজকে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর জ্ঞান ফেরে ওই হামলাকারীর।
‘হামলাকারী কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর হয়ে এ হামলা চালিয়েছে কি-না এ বিষয়ে এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত নই আমরা। তবে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে,’ যোগ করেন র্যাব কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন>>
** এবার হামলাকারী ফয়জুরের চাচা আটক
শনিবার (০৩ মার্চ) রাতে হামলাকারী ফয়জুরকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে নিজেদের হেফাজতে নেয় র্যাব। শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলায় তাকে সিলেট নগরীর রাগীব-রাবেয়া হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
র্যাবের কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, হামলাকারীকে সুস্থ করে তোলার জন্য রাতেই সিলেটের জালালাবাদ সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। এখনও সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে সে।
জানা যায়, হামলাকারীর নাম ফয়জুর রহমান। সে দিরাই উপজেলার কালিয়ার কাপনের হাফেজ আতিকুর রহমানের ছেলে। তার বাবা সিলেটের টুকেরবাজার মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক।
মাদ্রাসায় লেখাপড়া করা ফয়জুর বর্তমানে সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাবাজার ইউনিয়নের কুমারগাঁওয়ের শেখপাড়া এলাকায় একটি বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকে।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হামলার শিকার হন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তার মাথায় ও হাতে ছুরিকাঘাত করে হামলাকারী ওই যুবক।
হামলার পরপরই হামলাকারী যুবককে আটক করে গণপিটুনি দেন শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে ঢাকা সেনানিবাসের সিএমএইচে ভর্তি রয়েছেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৮
এনইউ/এমএ