তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের বিপুল সমুদ্র সম্পদ রয়েছে। ব্লু –ইকোনমির এই সম্ভাবনাকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে।
রোববার (০৪ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিজ্ঞানী ও গবেষণায় অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান।
গবেষণায় সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের পাট তো ধ্বংস করেই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে পাটকে আমরা বহুমুখী করার চেষ্টা করছি। গবেষণা করে পাটের জিনোম উদ্ভাবন করা হয়েছে।
‘ধানের গবেষণা করা হচ্ছে। বস্ত্রের উন্নয়নে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ইনস্টিটিউট গঠন করা হয়েছে, যারা এসব ক্ষেত্রে উন্নয়নে কাজ করছে। এভাবেই ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। ’
শেখ হাসিনা বলেন, পরমাণু কমিশন রয়েছে, যা জাতির পিতা করে দিয়ে গিয়েছিলেন। বর্তমানে আমরা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ছি। এজন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকবল দরকার। সেভাবে ট্রেনিংও দেওয়া হবে। পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য বিজ্ঞানী ও গবেষক দরকার। কয়েকটা ধাপে এর নিরাপত্তা থাকবে। আমরা সেভাবেই পদক্ষেপ নিয়েছি।
‘সমুদ্র সম্পদ রক্ষায় পদক্ষেপ নিয়েছি। যা আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগবে। চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমুদ্র বিজ্ঞান বিষয়ে পাঠদান করা হচ্ছে। ’
কক্সবাজারে সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিউট প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সমুদ্রপাড়ে একটি সি অ্যাকুরিয়াম গড়ে তুলবো। এটি গবেষণায় যেমন প্রয়োজন, তেমনি পর্যটক আকর্ষণেও ভূমিকা রাখবে। এ জন্য গবেষণা দরকার। ধাপে ধাপে আমরা এসব করছি।
বাংলাদেশ স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সমুদ্রে গিয়েছি, স্যাটেলাইটও উৎক্ষেপণ হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে অচিরেই। সেখানে দুর্যোগের কারণে বারবার উৎক্ষেপণের সময় পেছানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৮
এমএ/