সোমবার (৫ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ক্ষতিগ্রস্ত নড়িয়া-জাজিরা এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
ওই এলাকার কয়েক’শ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ, স্কুল- কলেজের প্রধানরা, পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের সদস্যরা মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তৃতায় অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বলেন, নদী ভাঙনরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে ১ হাজার ২২২ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন।
নড়িয়াকে নদী ভাঙনরোধ করতে এই প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। তা না হলে হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিলীন হয়ে যাবে শত শত ঘরবাড়ি ও স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা মসজিদ ও ফসলি জমি।
ওই এলাকার বাসিন্দা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেন, এলাকাবাসীর দাবির প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে দ্রুত কাজ শুরু হোক। তিনি প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীকে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান।
এনামুল হক শামীম বলেন, নড়িয়ার মাটি আওয়ামী লীগের উর্বর ঘাঁটি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া নড়িয়াবাসী কিছুই বোঝে না। বার বার এ এলাকায় থেকে নৌকার প্রার্থীরা বিজয়ী হয়। সেই এলাকায় এখন সর্বনাশা পদ্মা নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনবান্ধব সরকার। এই সরকার যখনই ক্ষমতায় থাকে, হতদরিদ্র ও প্রাকৃতিক দুযোর্গে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ায়। কেউ না খেয়ে মারা যায় না। নড়িয়ার ভাঙন কবলিত মানুষের পাশে এ সরকার থাকবে।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ সিমন, নড়িয়া পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ি, ইসমাইল হোসেন দেওয়ান, বাদশা শেখ, ইমাম হোসেন দেওয়ান, সৈয়দ হক মুন্না, মো ফাইয়াজ হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি পেশ করেন।
বাংলাদেশ সময় : ১৫৩১ ঘন্টা, মার্চ ৫, ২০১৮
এমএইচ/এএটি