আটকরা হলেন- বাজার রোডের এ অ্যান্ড জে এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর জুয়েল আহম্মেদ ও তার স্ত্রী ইসরাত জাহান দিনা।
সোমবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যায় বরিশাল নগরের বাজার রোড এলাকার নিজ বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ ও ভিকটিম সূত্রে জানা গেছে, গৃহকর্তা ও তার স্ত্রীর নির্যাতনের শিকার হয়ে আসফিয়া নামে একটি মেয়ে (গৃহকর্মী) তাদের বাসা থেকে পালিয়ে যায়। পরে বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানাধীন এলাকা থেকে আসফিয়াকে উদ্ধার করে পুলিশ।
আসফিয়া পুলিশের কাছে তার ওপর গৃহকর্তার নির্যাতনের কথা জানান। পাশাপাশি তার সঙ্গে আরও এক শিশু গৃহকর্মী আয়শাকেও নির্যাতন করা হয় বলেও তথ্য দেয়। সেই সূত্র ধরে আসফিয়াকে নিয়ে নগরের বাজার রোড এলাকায় গৃহকর্তার বাসায় আসেন। পরে নির্যাতনের সত্যতা পেয়ে অপর শিশু গৃহকর্মীকেও উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, দুই গৃহকর্মীকে বাসায় শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের সত্যতা পাওয়া গেছে। দু’জনের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে গৃহকর্মীদের শারীরিক দৈন্যতার কারণে এখন পর্যন্ত তাদের সঠিক বয়স নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার শাহানাজ পারভীন বাংলানিউজকে বলেন, উদ্ধার দুই গৃহকর্মীর আনুমানিক বয়স ১২ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে হতে পারে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার এসএম রুহুল আমিন বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় গৃহকর্তা জুয়েল আহম্মেদ ও তার স্ত্রী ইসরাত জাহান দিনাকে আটক করা হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার আসফিয়া বাংলানিউজকে জানায়, দেড়বছর যাবৎ তাকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতন থেকে বাঁচতে সে পালিয়ে এয়ারপোর্ট থানাধীন দক্ষিণ বাঘিয়া এলাকার বাসিন্দা রেনু বেগমের বাসায় গিয়ে পানি পান করতে চাই এবং সেখানে বসে এ ঘটনা বলে। এরপরেই পুলিশ তাকে সেখান থেকে নিয়ে যায়।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র সহকারী কমিশনার মো. শাখাওয়াত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া নির্যাতনের শিকার দুই গৃহকর্মীকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৮
এমএস/এসআরএস