রোববার (১১ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে শোবার ঘর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দেলবরের প্রতিবেশী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, দেলবর ও ঝর্ণা বেগমের পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
নজরুল ইসলাম আরো বলেন, রোববার সকাল ৮টার দিকে তাদের মেয়ে ঘুম থেকে উঠে পাশের বাড়ি থেকে নিজেদের বাড়িতে এসে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। এসময় সে তার বাবা-মাকে ডাকাডাকি করলে ঘরের দরজা না খোলায় সে জানালা দিয়ে উঁকি দেয়। এসময় সে তার বাবা মায়ের মরদেহ দেখে চিৎকার দেয়। চিৎকার শুনে আমরা এসে দেখি ঝর্ণার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে। তার ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের তিনটি কোপের চিহ্ন রয়েছে।
এদিকে, দেলবরের মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছে। এ দৃশ্য দেখে তাৎক্ষণিক আমি থানায় ফোন করি।
পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোফাজ্জেল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনি কিছু বলা যাচ্ছে না। ঘটনার কারণ উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
আরএ