একইভাবে কাঁচা মরিচ ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে এক সপ্তাহ আগেও। রোজা আসতে কাঁচা মরিচের কেজি এখন ৫০ টাকায়।
এ হিসাব কেবল পাইকারী বাজারের। খুচরা বাজারে আরো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। শুধু বেগুন ও কাঁচা মরিচই নয়। রমজানের দু’দিন আগে ২০ টাকা কেজি দরের শসা বিক্রি হলেও এখন ৬০/৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এভাবে কাঁচা বাজারে সব তরকারিতে দাম বেড়েই চলেছে। এক অর্থে রমজানকে ঘিরে সবজি ব্যবসায়ীদের এখন পোয়াবারো।
ব্যবসায়ীরা বলেন, বেগুন ও কাঁচা মরিচসহ যেসব পণ্যে মানুষের চাহিদা বেশি সেগুলোতে একটু-আদটু দাম বাড়বেই। চাহিদা অনুপাতে আমদানি কম থাকায় গাড়িতে থাকাবস্থায় পণ্য বিক্রি হয়ে যায়। এ কারণে দাম বাড়ছে।
খুচরা ব্যবসায়ী আফাজ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বেগুন ৫ কেজির পাল্লা ৩শ’ টাকা দিয়ে কিনেছি। লাভ করতে হলে খুচরা বাজার ৮০ টাকা বিক্রি করতে হবে, না হয় পর্তা মিলবে না। বিশেষ করে এ দুই পণ্যের উপর ভর করে রমজানে ব্যবসা চলে জানালেন, ক্ষুদে এ ব্যবসায়ী।
সিলেট নগরের কাঁচা বাজার ট্রেড সেন্টার ও নোয়াব আলী মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, বাজার ভর্তি আলু, কাঁচা মরিচ ও বেগুনে। প্রতিটি দোকানে অন্য পণ্যের পাশাপাশি রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যগুলো বাজার ধরেছে বেশি। ব্যবসায়ীরা গুরুত্ব দিচ্ছেন এসব পণ্যে। তবে আলুর দাম এখনো ২০ টাকায় রয়েছে। ঢেঁড়শ ৩০ টাকা, ধনে পাতা আটি ৫০ টাকা, বড় ডাটা শাক চার পিস ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে জানালেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, বাজার নিয়ন্ত্রণে ও পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৫টি মনিটরিং টিম মাঠে নামানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সন্দ্বীপ কুমার সিংহ।
তিনি বলেন, এসব টিম বাজারের ভোগ্য পণ্যের মূল্য তালিকার ওপর গুরুত্বারোপ করছে।
তবে মনিটরিং টিম ভোগ্যপণ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করলেও কাঁচা বাজার যেন নিয়ন্ত্রণহীন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৮
এনইউ/এসএইচ