ইয়াসমিন সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে ও সৈয়দপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, ইয়াসমিন গত বছর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়। এরজন্য সে একই শ্রেণিতে পড়ালেখা করতো। এরমধ্যে বাবা ইসমাইল ও মা লাকী বেগম তাকে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। একপর্যায়ে ফুফাতো ভাই কুয়েত প্রবাসী রাশেদের (৩৫) সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য তাকে চাপ সৃষ্টি করা হয়।
রাশেদ উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের সমাষপুর গ্রামের মোস্তফা মিয়ার ছেলে। তিনি এরআগেও বিয়ে করেছেন। প্রায় ৩ বছর আগে পারিবারিক কলহের জের ধরে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
সবকিছু জেনে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ইয়াসমিনকে তার মা-বাবা মারধর করেন। এতে অভিমান করে পরদিন সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরিবারের লোকজন দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার তার মৃত্যু হয়। পরে দুপুরে মরদেহ দত্তপাড়ার সৈয়দপুরের বাড়িতে আনা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি আহসানুল কবির রিপন বাংলানিউজকে জানান, বাল্যবিয়ে দেওয়ার জন্য ওই ছাত্রীকে পরিবারের পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হয়। এতে অভিমান করে সে বিষপানে আত্মহত্যা করে।
দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
এসআর/ওএইচ/