রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বড় মহেশখালীর শুয়রঘোনা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
আটক ইসহাক বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মুন্সির ডেইল পাহাড়তলী গ্রামের আলী আহমদের ছেলে।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বাংলানিউজকে জানান, গোপন সূত্রের খবরে শুয়রঘোনার গহীন অরণ্যে অভিযান চালানো হয়। উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্র ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়, যা প্রায় ঘণ্টাখানেক চলে।
তিনি বলেন, আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ৪৫ রাউন্ড ও সন্ত্রাসীরাও প্রায় ৫০ রাউন্ড গুলি চালায়। গোলাগুলির এক পর্যায়ে অস্ত্র তৈরির কারিগর ইসহাককে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি লম্বা বন্দুকও জব্দ করে পুলিশ।
ওসি বলেন, ইসহাকের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পরে পাহাড়ে অস্ত্র তৈরির কারখানায় ফের অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে আরও ১০টি দেশীয় তৈরি অস্ত্র ও ১০ রাউন্ড গুলিসহ বিপুল সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, ইসহাক এর আগে পুলিশের সঙ্গে ক্রসফায়ারে নিহত খুইল্যা মিয়ার সহযোগী ও তালিকাভুক্ত অস্ত্র কারিগর। তার বিরুদ্ধে ৩টি অস্ত্র মামলাসহ চারটি মামলা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮
এমএ/