বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হাতীবান্ধা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই স্কুলছাত্রীর বাবা।
অভিযুক্ত খন্দকার মনি উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের প্রান্নাথ পাটিকাপাড়া এলাকার আব্দুল জব্বার খন্দকারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রভাষক খন্দকার মনি তার প্রতিবেশী অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে গৃহশিক্ষক হিসেবে পড়াতেন। এ সুযোগে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাবের পাশাপাশি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটিকে যৌন নিপীড়ন করেন। যৌন নিপীড়নের ছবিও ধারণ করেন মনি।
যৌন হয়রানীর বিষয়টি ওই ছাত্রী তার মাকে জানালে মনিকে পারিবারিকভাবে নিষেধ করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মনি ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে ভাইরাল করেন।
অবশেষে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা শিক্ষক মনির বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশ নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি আইনে আরও একটি মামলা নথিভুক্ত করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি চেয়ে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করেন।
অভিযুক্ত প্রভাষক খন্দকার মনি যৌন নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, ‘ওই মেয়ে আমার প্রাইভেট ছাত্রী হলেও সম্পর্কে ভাতিজি হয়। দুই বছর আগের একটি ছবি এডিটিং করে ফেসবুকে দেওয়া হয়েছে মাত্র। ’
হাতীবান্ধা আলিমুদ্দিন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সরওয়ার হায়াত খান বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি লোক মুখে শুনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, শরিফুল ইসলাম খন্দকার মনি নামে এক প্রভাষকের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
ওই ছাত্রীর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে আরও একটি মামলার অনুমতি চেয়ে পুলিশের হেড কোয়ার্টারে আবেদন করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
জিপি