বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা এ আদেশ দেন। এর আগে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দুই আসামি নিহতের স্ত্রী দীপা ভৌমিক ওরফে স্নিগ্ধা ও তার প্রেমিক কামরুল ইসলামকে আদালতের হাজতে রাখা হয়।
পরে বেলা সোয়া ২টার দিকে পুলিশ পাহারায় তাদের আদালতের পেছনের সিঁড়ি দিয়ে এজলাশে হাজির করা হয়। এ সময় আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
মামলার বাদী অ্যাডভোকেট সুশান্ত ভৌমিকের পক্ষে নির্মল চন্দ্র মাহাতা জানান, যেহেতু মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে সে কারণে দ্রুত মামলাটি বিচারের জন্য জেলা জজ আদালতে পাঠানোর আবেদন জানানো হয়।
‘পরে বিচারক শুনানি শেষে মামলাটি বিচারের জন্য রংপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২ অক্টোবর। ’
আইনজীবী নির্মল চন্দ্র মাহাতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর এ মামলায় আসামি পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। কেন তারা আইনজীবী নিয়োগ করেননি তা বলতে পারবো না। তবে আমরা আদালতে বলেছি, মামলাটির বিচার দ্রুত শেষ হওয়া প্রয়োজন।
এর আগে গত ২৯ মার্চ রাতে বাবু সোনার খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ান স্ত্রী দীপা। এরপর তাকে খুন করা হয়। এর মধ্যে প্রচার করা হয়, বাবু সোনা নিখোঁজ হয়েছেন।
পরে গত ৩১ মার্চ কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি ও পরদিন থানায় মামলা করেন তার ছোটভাই সুশান্ত ভৌমিক সুবল। এর জের ধরে গত ৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাবু সোনার স্ত্রী দীপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে র্যাব।
পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি স্বামীকে খুন করার দায় স্বীকার করেন এবং মরদেহের অবস্থান সম্পর্কে জানান। পরে ওইদিন রাতেই তাজহাট মোল্লাপাড়া থেকে দীপার পরকীয়া প্রেমিক কামরুল ইসলামের ভাইয়ের নির্মাণাধীন বাড়ির ঘরের মাটি খুঁড়ে বাবু সোনার মরদেহ উদ্ধার করে র্যাব। সম্প্রতি এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
এমএ/